কঙ্গোর কর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে বলে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়।
এতে বলা হয়, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার কঙ্গোর ইকুয়েটর প্রদেশে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দূরত্বের ব্যবধানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কঙ্গোর মানবিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লুকোলেলা অঞ্চলের কঙ্গো নদীর তীরে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী বহনকারী একটি নৌকায় আগুন লাগে। পরে সেটি উল্টে গেলে ১০৭ জন মারা যান।
আরও পড়ুন: নৌকাডুবিতে মায়ের মৃত্যু, মেয়ে নিখোঁজ
প্রতিবেদনে বলা হয়, লুকোলেলা অঞ্চলের মাল্যাঞ্জ গ্রামের কাছে ডুবে যাওয়া নৌকাটি থেকে ২০৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কঙ্গোর সামজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগের দিন বুধবার বাসাসকুসু অঞ্চলে পৃথক এক দুর্ঘটনায় মোটর চালিত নৌকা ডুবে যায়। এতে অন্তত ৮৬ জন মারা যান। যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবি, ৪০ জনের বেশি নিখোঁজ
দুটি ঘটনার একটিরও কারণ জানা যায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছিল কি না, তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কঙ্গোর রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বোঝাই এবং রাতের অন্ধকারে নৌযান চালানোর কারণে বুধবারের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। ঘটনাস্থলের কিছু ছবিতে দেখা গেছে, গ্রামবাসী কয়েকটি মরদেহের চারপাশে জড়ো হয়ে আহাজারি করছেন।
]]>