সম্প্রতি সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল) ভারত চ্যাম্পিয়ন্স দল গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্সের মুখোমুখি হতে আপত্তি জানায়। শিখর ধাওয়ান, যুবরাজ সিং, ইরফান পাঠান, সুরেশ রায়না ও ইউসুফ পাঠানের মতো তারকারা পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এই অবস্থান নেন।
এরপর থেকেই ভারতীয় জাতীয় দলের ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের চাপ বাড়ছে। দেশটির অনেক সাবেক ক্রিকেটার থেকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় দলের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জান্যে আসছে।
এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানোর এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। কিন্তু কথার লড়াই থেমে নেই। এবার ভারত-পাকিস্তান মহারণ ঘিরে নতুন বিতর্ক ছড়িয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার কেদার যাদব। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতের যে কোনো প্রতিপক্ষকে হারানোর সামর্থ্য আছে, পাকিস্তানও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে তার মতে, এই ম্যাচ আদৌ হওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় দলের হয়ে ট্রফি জিততে চাই’
ভারতের জার্সিতে ৭৩ ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলা যাদব বলেন, 'আমার মনে হয় ভারতীয় দলের একেবারেই খেলা উচিত নয়। ভারত যেখানেই খেলবে, জিতবেই। কিন্তু এই ম্যাচটা (পাকিস্তানের বিপক্ষে) খেলা উচিত হবে না এবং আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তারা ম্যাচটা খেলবেও না।'
এর আগে কিংবদন্তি স্পিনার হরভজন সিংও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ বয়কটের সম্ভাবনা নিয়ে একই রকম অবস্থান নিয়েছেন। এই স্পিনার প্রশ্ন তুলেছিলেন, 'আমরা কেন তাদের এত গুরুত্ব দিই?'

৪৫ বছর বয়সী হরভজন নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, 'আমার কাছে সীমান্তে দাঁড়ানো সেই সৈনিকের ত্যাগই সবচেয়ে বড়, যার পরিবার প্রায়ই তাকে দেখতে পায় না, যিনি কখনও কখনো জীবন দান করেন এবং ফিরে আসেন না। তার তুলনায় একটা ক্রিকেট ম্যাচ না খেলা খুবই ছোট ব্যাপার।'
আরও পড়ুন: বাবরের দলে ফেরার জন্য যে জায়গায় উন্নতির কথা বললেন কোচ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর হংকং বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপের এবারের আসর মাঠে গড়াবে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান পড়েছে গ্রুপ ‘এ’-তে, সঙ্গে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। গ্রুপ ‘বি’-তে আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও হংকং। পাকিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ১২ সেপ্টেম্বর ওমানের বিপক্ষে, এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর মহারণে মুখোমুখি হবে ভারতের।
২০২৬ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে এবারের আসরটি হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল সুপার ফোরে উঠবে, ফলে ২১ সেপ্টেম্বর ভারত–পাকিস্তানের আরেকটি লড়াইয়ের সম্ভাবনা থাকছে। ফাইনালের জন্য নির্ধারিত দিন ২৮ সেপ্টেম্বর।