এক তরুণীকে নিয়ে ২ প্রেমিকের হাতাহাতি, প্রতিশোধ নিতে হত্যা

৩ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহ সদরে চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের রহস্য উন্মোচন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। পরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মো. রবিন মিয়া (১৯) ও মো. মিলন (২০) জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে আকাশ ও মিলনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এই বিরোধের জের ধরে মিলন মোবাইল ফোনে আকাশকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।


এর আগে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর খিলগাঁও গার্লস স্কুলের পিছনের বস্তি থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি মো. রবিন মিয়া এবং অপর একটি বস্তি থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মো. মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।


এ নিয়ে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এম এম মোহাইমেনুর রশিদ।


আরও পড়ুন: দেবর-ভাবির ‘পরকীয়া’র বলি প্রবাস ফেরত হাসান, আটক ছোট ভাই


সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ২৬ নভেম্বর রাতে সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের টেকের মাথা কালভার্টসংলগ্ন পাকা রাস্তার পূর্ব পাশে ধানি জমিতে আকাশ মিয়া (২০) নামে এক অটোরিকশা চালকের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। রাস্তায় রক্ত দেখে তার মরদেহের খোঁজ পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। আকাশ পরানগঞ্জ ইউনিয়নের চর হাসাদিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে।


এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। আকাশকে হত্যার পর তার অটোরিকশাটিও ছিনতাই হয়।


এ নিয়ে থানায় মামলা হওয়ার পর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানে নামে। এরপর শুক্রবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও গার্লস স্কুলের পিছনের বস্তি থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি মো. রবিন মিয়া এবং অপর একটি বস্তি থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মো. মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ভালুকার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী এলাকা থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।


আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড


গ্রেফতার মো. মিলন ও রবিন মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, আকাশ ও তারা একই গ্রামের বাসিন্দা। মো. মিলন ঢাকায় পোশাক শ্রমিক এবং রবিন চালের আড়তে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে আকাশ ও মিলনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে আকাশ ও মিলনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এই বিরোধের জের ধরে মিলন মোবাইল ফোনে আকাশকে ডেকে নিয়ে যায়। তিনজন পরানগঞ্জ, বোররচরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে। পরে ২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে পেছন থেকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে যায়।


ময়মনসিংহ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে এক মেয়ের সঙ্গে নিহত আকাশ ও মিলনের সম্পর্ক নিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন