জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র একজন। ফলে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও অন্তঃবিভাগ; সব ক্ষেত্রেই একাই দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে ওই চিকিৎসককে। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন রোগীরা।
এর ওপর রয়েছে ভবন ও ওষুধ সংকট। পুরনো ভবনটি ভেঙে ফেলায় বর্তমানে একটি জরাজীর্ণ ভবন ও ভাড়া বাসায় চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। নির্ধারিত ৩০টি বেডের পরিবর্তে রয়েছে মাত্র ২০টি, আবার কখনও একটি বেডে দুই-তিনজন রোগী একসঙ্গে থাকেন। হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন নেই, মজুত নেই পর্যাপ্ত ওষুধও।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সংকটে আছে এই হাসপাতাল। এখন তো একজন ডাক্তার দিয়েই পুরো উপজেলা চলছে। টেস্টের কোনো ব্যবস্থা নেই, ভবনও ভাড়া বাসায় চলছে। সব মিলিয়ে হাসপাতাল নিজেই এখন রোগীতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সুযোগে এলাকার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক রোগীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, সেবা ব্যাহত
স্থানীয় বাসিন্দা আহসান কবির বলেন, ‘এখানে শুধু চিকিৎসক নয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাও একেবারেই অপর্যাপ্ত। ভবন নির্মাণের জন্য দুইবার টেন্ডার হলেও কাজ হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় হওয়ায় ঠিকাদার কাজ না করেই টাকা তুলে নিয়েছে। কেউ কিছু বলার সাহসও পায়নি।’
কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসক ও ভবন সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে বারবার আবেদন করেছি। এখনও সমাধান মেলেনি, তবে আশা করছি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।’
প্রতিদিন কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ৪৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। অথচ সেই বিপুল সংখ্যক রোগীর ভরসা একজন মাত্র চিকিৎসক।

২ সপ্তাহ আগে
৬






Bengali (BD) ·
English (US) ·