বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ফজলুর রহমানকে তার বাড়ির পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তার মুখে ঘাস মারার বিষের গন্ধ পাওয়া যায় এবং মুখ থেকে লালা পড়ছিল। এ সময় তার হাত-পা বাঁধা ও গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল। পরে তাকে প্রথমে মোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবার দাবি করেছে, সুদের টাকা না দিতে পারায় স্থানীয় চিহ্নিত সুদের কারবারি ধুলু মিয়াসহ কয়েকজন মিলে ফজলুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিষ খাইয়ে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আনজুয়ারা বেগম মোহনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ধুলু মিয়াকে। পুলিশ শনিবার রাতেই ধুলুকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজাহারে আনজুয়ারা উল্লেখ করেন, ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী শহর থেকে কেশরহাট যান ফজলুর। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি বেলনার উদ্দেশে রওনা দেন। পরে রাত ১১টার দিকে বাড়ির পাশের একটি চায়ের দোকানের সামনে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ঋণের চাপে ইঁদুরের ওষুধ খেয়ে মা-মেয়ের আত্মহত্যা
ফজলুরের বড় ছেলে শাহ আলম (২৫) জানান, রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা তাকে জানিয়েছিলেন- ধুলু মিয়াসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫ থেকে ৬ জন মিলে তার হাত-পা বেঁধে জোর করে বিষ খাইয়েছে।
ফজলুরের চাচাতো ভাই এনামুল হক জানান, ২০২২ সালে ধুলুর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন ফজলুর। ওই ঋণের সুদ বাবদ তিনি ইতোমধ্যে ৪৩ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এরপরও ধুলু আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে সালিশে ১৫ হাজার টাকায় মীমাংসা হলেও ধুলু তা মেনে নেননি এবং ফজলুরের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, 'মারা যাওয়ার আগে ফজলুর রহমান ভিডিও বার্তায় অভিযুক্ত একজনের নাম বলেছেন। সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।'