ইসির ৭৩ পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই নেই বেশিরভাগের!

৪ দিন আগে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষকের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় গিয়ে তাদের হদিস মেলেনি। কোনোটির আবার অস্তিত্বই নেই। তন্নতন্ন করে খুঁজেও দেখা মেলেনি এমন প্রতিষ্ঠানও পেয়েছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রাথমিক অনুমতি। সময় সংবাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনভিজ্ঞ আর নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হলে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উঠবে প্রশ্ন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে শুধু বাংলাদেশ নয়, বলা চলে তাকিয়ে আছে বহির্বিশ্বও। স্বভাবতই এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের মাত্রা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

 

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে গত সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন পর্যবেক্ষকের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে শুরু থেকেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।

 

কমিশনের দেয়া তালিকার ৫১ নম্বরে আছে কমিউনিটি আসিস্টেন্স ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট বা কার্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কার্ডের ঠিকানা দেয়া হয়েছে রাজধানীর রায়েরবাজার জাফরাবাদ এলাকার ৪০ বাই ১। ভবনটির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ভবনে কখনও এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বা এনজিও ছিলই না।

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনে লড়বেন তারেক রহমান, ভূমিকা থাকবে খালেদা জিয়ারও

 

এ ছাড়া আদাবরে বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির বি ব্লকের ১৭ নম্বর রোডের ১০৩০ বাড়ি নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করেছে প্রসোশনাল রিসার্চ অ্যাডভোকেসি ট্রেনিং অ্যাকশন ইয়ার্ড বা প্রত্যায় নামের একটি সংস্থা। সরেজমিনে দেখা যায়, আদতে সেখানে এ প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্বই নেই।

 

এরপর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের ১৬/১৬ বিয়ান মনি সোসাইটি- বিএমএসর ঠিকানায় গিয়ে কথা হয় ভবনের কেয়ারটেকারের সঙ্গে। তিন দিন আগেও তিনি জানতেন না এখানে এরকম প্রতিষ্ঠান আছে। প্রশ্ন হলো তাহলে কি গণমাধ্যম আনাগোনার খবরেই লাগানো হয়েছে সাইনবোর্ড?

 

শুধু তাই নয়, অ্যাকটিভ এইড ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধনই পেয়েছেন মাত্র দুই বছর আগে। কথা হয় এক কর্মকর্তার সঙ্গে। জাতীয় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচনে এত অল্প সময়ের অভিজ্ঞতা যথাযথ দায়িত্বপালনের জন্য পর্যাপ্ত কি না-- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বয়স কম হতে পারে। কিন্তু আমাদের যে অভিজ্ঞতা, তাতে আত্মবিশ্বাস আছে যে আমরা পারবো।’

 

আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ালেন ফুয়াদ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন বুলবুল ও ফাহিম

 

অভ্যুত্থান পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে এমন অনভিজ্ঞ আর নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পেলে তা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে কি না এমন প্রশ্ন ছিল নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীর কাছে।

 

তিনি বলেন, 

দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণটা এখন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

প্রাথমিক নিবন্ধন পাওয়া এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে কমিশন বরাবর দাখিলের আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন