গাজায় ইসরাইলের দুই বছরের গণহত্যার অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে দোহায় হামাস সদস্যরা যখন জড়ো হয়েছিলেন, তখন ইসরাইল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
ইসরাইল জানিয়েছে এই হামলায় হামাসের নেতৃত্বকে হত্যা করার লক্ষ্য ছিল তাদের। কিন্তু হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেলেও পাঁচজন হামাস সদস্য এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরাইল।
আরও পড়ুন:কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরাইলি হামলার বিরোধীতা করেছে মোসাদ
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
সোমবার জরুরি আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া বৈঠকের জন্য কাতার আরব ও ইসলামী দেশগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ বিন মোহাম্মদ আল-আনসারি কাতার নিউজ এজেন্সি (কিউএনএ) কে বলেছেন, শীর্ষ সম্মেলনে ইসরাইলি আক্রমণের উপর একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। যা ইসরাইল কর্তৃক পরিচালিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের আরেকটি উদাহরণ।
রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠকে খসড়াটি নিয়ে কাজ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে ইসরাইলের হামলার আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দা জানানো হবে।
এর আগে শুক্রবার নিউইয়র্কে ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি। তিনি বলেছেন, কাতার এই হামলার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানাবে, যা সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের অবসান এবং আঞ্চলিক ঐক্য তৈরিতে কাতার দীর্ঘদিন ধরে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন:কুয়েতে বাংলাদেশিসহ সাত জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
রোববার এবং সোমবারের বৈঠকে, মূলত ফিলিস্তিনিপন্থি পদক্ষেপ এবং অঞ্চলজুড়ে ইসরাইলের আক্রমণের বিরোধিতা করা হবে।
]]>