ইসরাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৩ সপ্তাহ আগে
ইসরাইলের তেল আবিব ও মধ্য ইসরাইল লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এসময় ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বেজে উঠে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সফলভাবে হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

 

ইসরাইল জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি আটকানোর পর এর ধ্বংসাবশেষ থেকে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

 

এর আগে আইডিএফ জানিয়েছে, তেল আবিব এবং মধ্য ইসরাইলে সতর্কতা সাইরেন বাজানোর সাথে সাথে হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার জন্য কাজ করছে।

 

আরও পড়ুন: হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে জাতিসংঘের নতুন প্রস্তাব পাস

 

আইডিএফ আরও জানায়, ইয়েমেন থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর শনাক্ত করা হয় এবং সেটি ভূপাতিত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়।

 

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে প্রায়ই ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হুতি বিদ্রোহীরা। জবাবে ইসরাইলও ইয়েমেনে বিমান হামলা চালায়।

 

এদিকে একের পর এক হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। গাজার বিভিন্ন এলাকায় চলছে ইসরাইলি তাণ্ডব। বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় গাজা সিটির একটি বহুতল আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এলাকাজুড়ে একাধিক হামলায় নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।

 

আরও পড়ুন: এই জায়গাটি আমাদের, কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না: নেতানিয়াহু

 

চলমান এই নিষেধাজ্ঞায় ইতি টানতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ শুক্রবার একটি ঘোষণা অনুমোদন করেছে। সৌদি আরব ও ফ্রান্সের আয়োজনে জুলাইয়ে হওয়া আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ভিত্তিতেই এই সাত পাতার ঘোষণা তৈরি হয়। ১৪২টি দেশ পক্ষে, ১০টি বিপক্ষে এবং ১২টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।

 

ঘোষণায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলা যেমন নিন্দনীয়, তেমনি গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ, অবরোধ ও অনাহারও অমানবিক। এতে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তুলে ধরে তা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট, সময়সীমা-সাপেক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন