গাজার দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের তায়সীর ওবাইদ জানান, তাঁবুর ভেতরকার এই গর্ত তার পরিবারকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলা থেকে। কিছুটা অসুবিধা থাকলেও বিশেষ এই ব্যবস্থা তাদেরকে নিরাপত্তা দেবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শব্দটি সহজ নয়। মানুষ যেটুকু কল্পনা করতে পারে, যুদ্ধ ও হামলা তার চেয়েও বেশি কিছু। যুদ্ধ হলো খাবার, নিঃশ্বাস ও পানি। শিশুদের মুখে খাবার জোটানো কঠিন। যুদ্ধ তিন বর্ণের একটা শব্দ হতে পারে কিন্তু এটার অর্থ অনেক বড়। কেউ বাস্তবে যুদ্ধের মুখোমুখি না হলে এটার ব্যথা অনুভব করতে পারবে না।
শত অনিশ্চয়তার মধ্যেও তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাতের কাছে যা কিছু আছে তা দিয়েই পরিবারের ১০ সদস্যের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমাতে। তাঁবুর পাশেই ছোট জমিতে শাক সবজি ফলিয়েছেন পরিবারের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে। পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রেখেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাতের গোপন আলোচনা
গাজার অন্যান্য অনেক ফিলিস্তিনির মতো, বেইত লাহিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত ওবায়েদ এবং তার পরিবার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার স্থানান্তরিত হতে হয়েছে।
এদিকে হামাসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে মুক্তি দিতে ৩৪ জন জিম্মির তালিকা প্রস্তুত করেছে হামাস। এই অবস্থার মধ্যেই গত সোমবার (৭ জানুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাইডেনের দ্বৈত নীতি / যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসকে চাপ, ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি
কাতার এবং মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যস্থতায় আলোচনার জন্য ইসরাইলের একটি প্রতিনিধি দোহায় পাঠিয়েছে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতিনিধিদলে মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির আলোচনার বিষয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র: ডানিয়া নিউজ
]]>