ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা: ঝালকাঠিতে ১১ দিনে ১৪ জনের কারাদণ্ড

১ সপ্তাহে আগে
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালি নদীতে প্রশাসনের নজরদারি ও অভিযানের পরও থামছে না মা ইলিশ নিধন। উপজেলার দক্ষিণ সীমান্তঘেঁষা বাখেরগঞ্জের নিয়ামতি মোহনায় সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের যৌথ অভিযানে সম্প্রতি ওই মোহনা থেকে ১৫টি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নৌ পুলিশের নিরবতার সুযোগে অসাধু জেলেরা রাতে, ভোরে ও সন্ধ্যায় সুযোগ বুঝে নদীতে জাল ফেলছে। বিশেষ করে নিয়ামতি মোহনায় শতাধিক জেলে নিয়মিতভাবে জাল ফেলছে বলে জানান নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

 

নিয়ামতি নৌ পুলিশের এসআই শাহাজাদা বলেন, “ট্রলারের মেশিন নষ্ট থাকার সুযোগে কিছু জেলে জাল ফেলেছিল, সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।”

 

এদিকে উপজেলার নাপিতেরহাট, বাদুরতলা, উত্তরমপুর, চল্লিশকাহনিয়া, পালট ও বড়ইয়া এলাকা থেকে সন্ধ্যার পর এবং ভোরে অটো ও মোটরসাইকেলে বস্তা ও ব্যাগে ইলিশ উপজেলা শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা এসব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানোর দাবি জানিয়েছেন।

 

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি বলেন, “ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরার বিরুদ্ধে দিনরাত দুটি টিমে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

 

আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মণ্ডল জানান, প্রজননকালীন সময়ে কেউ যেন ইলিশ ধরতে না পারে, সেজন্য প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত ১১ দিনে ১৪ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, ১৩ লাখ টাকার জাল ও প্রায় ২ মণ ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা ইলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয় এবং জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, “রাজাপুর অংশের চেয়ে আশপাশের উপজেলার মৌসুমি জেলেরা ইলিশ নিধনে বেশি সক্রিয়। মা ইলিশ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

 

উল্লেখ্য, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। রাজাপুরে নিবন্ধিত ২ হাজার ১৪২ জন জেলে এ সময়ে চাল সহায়তা পাবেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন