ইরানে হামলার আগে বাঙ্কারে গোপন বৈঠক করে ইসরাইল, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ

৩ সপ্তাহ আগে
ইরানের সাথে ১২ দিনের সংঘাত শুরু করার আগে একটি গোপন বৈঠক করেছিল ইসরাইল। সেই বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে স্থানীয় একটি গণমাধ্যম। যেখানে ১৩ জুন ইরানে ইসরাইলের হামলা চালানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ খামেনিকে হত্যা করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার চ্যানেল ১৩ এর প্রতিবেদনে ইসরাইলি নেতা এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচার করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রচার করবে চ্যানেলটি।


এতে জানানো হয়, ওই বৈঠকে ১৩ জুনের রাতভর হামলা চালানোর উদ্দেশ্য, ভূগর্ভস্থ ফোর্দো স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের আশা, সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনিকে হত্যার সুযোগ খুঁজে বের করার এবং তেহরানের শাসনব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টাসহ তেহরানের বাসিন্দাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করার প্রচেষ্টার উপর আলোকপাত করা হয়।

 

আরও পড়ুন:গাজা সিটিতে জাতিসংঘের ১০টি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরাইল

 

তবে চ্যানেলটি গোপন বৈঠকের বিষয়ে কীভাবে তথ্য পেয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।

 

১২ জুন, জেরুজালেম পাহাড় এলাকার একটি বাঙ্কারে গোপন বৈঠকের জন্য ডাকে  নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।


সভার শুরুতেই নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি। যদি আমরা তাদের থামাতে না পারি, তাহলে কয়েক বছরের মধ্যে তারা কয়েক হাজার কিলোগ্রাম পারমাণবিক বিস্ফোরক পাবে। ইরান ইতিমধ্যেই আট থেকে নয়টি বোমার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে বিস্ফোরক পদার্থ সমৃদ্ধ করেছে এবং তারা অস্ত্রায়নের কাজ করছে। যদি আমরা পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমাদের ওপর আঘাত আসবে। তাই আমরা কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণের উপর একটি বড় আঘাত করব, সিনিয়র বিজ্ঞানী এবং অন্যান্য উপাদানগুলোকে আঘাত করব। ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন।’


নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘তারা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম পাওয়ার হাউস হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। আমরা তাদের কিছু স্থাপনা এবং বিজ্ঞানী ধ্বংস করার পর, একটি চুক্তির জন্য আলোচনা ভিন্ন বাস্তবতায় অনুষ্ঠিত হবে। আমরা অনেক মাস ধরে ম্যারাথন আলোচনা করেছি।’


এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা মন্ত্রীদের বলেন যে, এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হলো দীর্ঘমেয়াদে তেহরানকে পারমাণবিক শক্তি অর্জন থেকে বিরত রাখার জন্য পরিস্থিতি তৈরি করা এবং ইসরাইলের কৌশলগত ভারসাম্য উন্নত করা।

 

আরও পড়ুন:ইসরাইলের দুই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হুতির ড্রোন হামলা


১৩ জুন ২০২৫ সালের ভোরে ইসরাইল ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে। ইসরাইলের হামলায় বেশ কয়েকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। এছাড়া ইসরাইলের পক্ষ হয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রও হামলা চালায়। 

 

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরাইল

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন