স্থানীয় সময় রোববার (৫ অক্টোবর) ভার্জিনিয়ার নরফোকের নৌ ঘাঁটিতে মার্কিন নৌবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এ হুমকি দেন।
তেহরানের সম্ভাব্য পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি তারা এটি করে, তাহলে আমাদেরও ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ঘাঁটিতে জড়ো হওয়া নাবিকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন,
আপনারা এটি করতে চান, ঠিক আছে। তাহলে আমরাও ব্যবস্থা নেব এবং এবার আর বেশি অপেক্ষা (হামলার জন্য) করব না।
গত ২২ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলা (অপারেশন মিডনাইট হ্যামার) ‘নিখুঁতভাবে’ সম্পাদিত হওয়ার প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকান বি-২ বোমারু বিমান এবং সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপিত টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের জন্মদিনে হোয়াইট হাউসে হবে ‘ইউএফসি ফাইট’!
প্রতিবেদন অনুসারে, ১৩ জুন ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক-সম্পর্কিত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ইসরাইলি বিমান হামলার পর, মার্কিন এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইরানি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে।
অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘বি২, সেই সুন্দর উড়ন্ত ডানা; তারা যা করেছে, তারা প্রতিটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। আমরা একটি সাবমেরিন থেকে ৩০টি টমাহক ছুড়েছি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ওই হামলার আগে ইরান এক মাসের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছিল, এবং মার্কিন বাহিনী তেহরানকে সেই সীমা অতিক্রম করতে বাধা দেয়।
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইরান) এক মাসের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে যাচ্ছিল এবং এখন তারা আবারও সেই কার্যক্রম শুরু করতে পারে। কিন্তু আমি আশা করি তারা তা করবে না, কারণ যদি তারা এটি করে তবে আমাদেরও ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি তাদের বিষয়টি জানিয়েছি।’
সূত্র: ইরান ইন্টারন্যাশনাল