মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগাররা।
স্কোরবোর্ডে ১৯ রান যোগ হতেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আসিথা ফার্নান্দোর বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৩ বলে ১৭ রান করা এই ওপেনার।
স্কোরবোর্ডে আর এক রান যোগ হতেই আরও একটি উইকেট হারায় তারা। ৩ বল খেলে শূন্য রানেই ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে বোল্ড আউট করে সাজঘরে ফেরান চামিরা।
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৮৬
২০ রানে টপ-অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে টাইগাররা।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কারও। তবে ঘুরে দাঁড়াতেও বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। দলীয় ১৩ রানে মাদুশকার উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৬ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাতটা আনেন তানজিম হাসান সাকিব। দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম। ৩৫ রান করা ওপেনার নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে ৫৬ রানের জুটি ভেঙেছিলেন তিনি।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুশলকে সঙ্গ দিতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস। ৩১ রানের ছোট্ট এই জুটিটা ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ রান করা কামিন্দুকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: হ্যাজলউড-রাবাদাদের ছাড়িয়ে শীর্ষে তাসকিন
১০০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে আসালাঙ্কার সঙ্গে বড় জুটি গড়েন কুশল। এক পর্যায়ে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আসালাঙ্কা। আরেক প্রান্তে সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস। তার ক্যারিয়ারে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়।
আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে ১২৪ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ বলে ৫৮ রান। তারপর কুশল মেন্ডিসও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১১৪ বলে ১২৪ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান শামীম হোসেন পাটওয়ারী।
এরপর আর কোনো বড় জুটি গড়ে ওঠেনি। জেনিথ লিয়ানাগে ফেরেন ১৭ বলে ১২ রান করে। দুনিথ ভেল্লালাগে আউট হন ৬ বলে ৬ রান করে। শেষ দিকে ১৪ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আরেপ প্রান্তে ৮ বলে ১০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন চামিরা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ও মিরাজ নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শামীম, তানজিম ও তানভীর ইসলাম।
]]>