তিন ফরম্যাটে আছেন জাতীয় দলে। চলমান বিপিএলে বল হাতে রংপুরের জার্সিতে ৫ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে আছেন উইকেট শিকারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। কতটা ছন্দে আছেন এই পেসার তা বোঝা যায় তার এমন পরিসংখ্যানে। এই সাফল্যের পেছনের গল্প শোনালেন রানা। মূলত, অভিষেকের পর থেকে বিসিবির দেয়া ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট মেনে চলায় পাচ্ছেন সফলতা।
রংপুরের পেসার নাহিদ রানা বলেন, 'ছোট ছোট জিনিস নিয়ে আমি বেশি মনযোগী থাকি। রংপুর দলের কোচ ও ম্যানেজমেন্ট (আমাকে ফিট থাকতে) সাহায্য করে। আমার সেরাটা মাঠে দেয়ার চেষ্টা করছি।'
অভিষেকের পর থেকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হচ্ছে নাহিদ রানাকে। তবে বিপিএলে খেলছেন নিয়মিত। পেসার বলেই শঙ্কা রয়েছে ইনজুরির। তবে এই বোলার প্রস্তুত আছেন নিয়মিত ম্যাচ খেলতে। পরামর্শ নিচ্ছেন বিসিবি'র ফিজিও থেকে।
নাহিদ রানা বলেন, 'প্রথমে যেটা বললেন যে ইনজুরি। ধরেন, মানুষ যুদ্ধে নামলে গুলি খাইতে হয়। ক্রিকেট খেলতে আসলে ইনজুরিতে পড়বই। আর ফিটনেস মেইন্টেইন করছি। (কোচরা) যে শিডিউল দিয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ করছি। আমাদের বিসিবির যে ফিজিও আছেন তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। আবার রংপুরের ফিজিওর সঙ্গেও কথা হয় সবসময়।'
আরও পড়ুন: কেন একাদশে সুযোগ হয় না, জানালেন রিশাদ
গতির ঝড় তুলে নাহিদ রানা এরই মধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন কিংবদন্তিদের। ক্রিকেট বিশ্বে ভীতি ছড়ালেও, নিজেকে সাধারণ মানুষ ভাবেন নাহিদ। কান দিতে চান না বাইরের আলোচনায়।
রংপুরের এই পেসার বলেন, 'এইসব জিনিসগুলো থেকে আমি নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি। তবে মানুষ মানুষের প্রশংসা করলে তা শুনতে ভালো লাগে। তবে আমি চেষ্টা করি এইসব থেকে দূরে থাকার। আমি নিজেকে তারকা মনে করি না। আমি আপনাদের মতো সাধারণ মানুষ। আমি সাধারণ থাকারই চেষ্টা করছি।'
মিরপুরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে প্রথম ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন এই পেসার। এদিন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষেও ৩ উইকেট শিকার করে হয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।