আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু

৩ সপ্তাহ আগে
দীর্ঘ যুদ্ধ ও সংঘাতের পর সিরিয়ার নতুন সরকারের অধীনে দামেস্ক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় শুরু হয়েছে। এ ঘটনাটিকে দেশটির পুনর্গঠনের এক নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।

বাশার আল আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সিরিয়ার নতুন সরকারের অধীনে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়।

 

গত মাসে বাশার আল-আসাদের সরকারকে উৎখাতের পর দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এ বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

 

সিরিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বিমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এছাড়া, কাতার এয়ারওয়েজ জানায় তারা সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। সিরিয়ার নতুন সরকার দেশের প্রধান দুটি বিমানবন্দর, দামেস্ক এবং আলেপ্পো পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় নতুন করে ছড়াচ্ছে সংঘাত, দুই দিনে নিহত ১০১

 

দামেস্ক বিমানবন্দরের পরিচালক আনিস ফালাও বলেন, ‘আজ নতুন করে সবকিছু শুরু হলো। আমরা ফ্লাইট আগমন ও বহির্গমন শুরু করেছি।’

 

সিরিয়ার নতুন সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে কাজ করছে। তবে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে তেল এবং খাদ্য আমদানিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে শিথিল করেছে। দেশটিতে মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ।

 

অন্যদিকে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী আল কাইম সীমান্ত পয়েন্ট পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি চলছে। ইরাক সরকার জানিয়েছে, এটি শিগগিরই চালু হবে, যা দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন সহজ করবে। সীমান্ত পুনরায় চালুর মাধ্যমে সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে ইরাকের সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: দামেস্কে জোলানির সঙ্গে ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, যেসব বিষয়ে আলোচনা

 

তুরস্ক সিরিয়ার নতুন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনে তারা সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন সামরিক অভিযান চালাতে প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।

 

গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও আরও কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিমানে করে দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন