আটকে পড়া যাত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার শাকির জাহান জানান, ট্রেনটি বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আশুগঞ্জে প্রবেশের সময় হঠাৎ করে ট্রেনের ‘ট’ ও ‘ঠ’ বগির মাঝে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে পিছনের পাঁচটি বগি আলাদা হয়ে পড়ে। সামনের অংশ আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করে, আর পিছনের অংশ আটকে যায় আশুগঞ্জ যাত্রাবাড়ী এলাকায়।
এতে তাৎক্ষণিকভাবে আপ লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিকল্পভাবে ডাউন লাইন ব্যবহার করে সীমিত আকারে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখা হয়, যার ফলে ট্রেনের সিডিউলে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে এবং যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
ঢাকাগামী মহানগর গোধূলির যাত্রী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. জামাল বলেন, ‘এক ঘণ্টার বেশি সময় স্টেশনে বসে আছি। আদৌ যেতে পারব কিনা নিশ্চিত নই। এই ঘটনার জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া উচিত।’
আরেক যাত্রী মো. নূর বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের রাতে বিদেশগামী ফ্লাইট রয়েছে। ট্রেনের এই সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে এখন চিন্তায় আছি আদৌ সময়মতো পৌঁছাতে পারব কিনা।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৭ লাখ টাকার অবৈধ ভারতীয় পণ্য জব্দ
যাত্রী মোহাম্মদ উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। যদি সে সময়ে বিপরীত দিক থেকে অন্য কোনো ট্রেন আসত তাহলে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত।’
এদিকে বিচ্ছিন্ন বগিগুলো উদ্ধারে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি ইঞ্জিন আনা হলেও সেটিও বিকল হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আপ লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বিকল্প ডাউন লাইন ব্যবহার করে মহানগর গোধূলি ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস যথাক্রমে প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে যায়।
তবে কি কারণে ট্রেনটি মাঝপথে বিচ্ছিন্ন হলো তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
]]>