প্রথমজন রাশিদা তালিব। ১৯৭৬ সালে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটে জন্ম নেওয়া রাশিদার পরিবার ফিলিস্তিনের বাথলাহ গ্রাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন করেন। ২০১৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে নির্বাচিত হয়ে প্রথম ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্য হন।
দ্বিতীয়জন ফাদি কাদ্দুরা। তিনি ১৯৮০ সালে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০২০ সালে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সিনেটে নির্বাচিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে মুসলিম ও আরব আমেরিকানদের অংশগ্রহণের নতুন অধ্যায় শুরু করেন।
তৃতীয়জন ইমান জোদেহ। তার পরিবার ১৯৭৪ সালে ফিলিস্তিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন করে। ১৯৮৩ সালে ডেনভারে জন্ম নেওয়া ইমান ২০২০ সালে কলোরাডো হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে কলোরাডো সিনেটে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শাটডাউনে অচলাবস্থা / যুক্তরাষ্ট্রে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল, বিলম্ব ৬ হাজার ফ্লাইটে
চতুর্থজন রুয়া রোমান। ১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া রুয়া’র পরিবার ফিলিস্তিন থেকে জর্ডান হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ২০২২ সালে তিনি জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে নির্বাচিত হয়ে মুসলিম ও ফিলিস্তিনি নারীদের রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
পঞ্চমজন আব্দুল নাসের রাশিদ। ১৯৮৯ সালে জন্ম নেওয়া রাশিদ ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রিধারী এই তরুণ নেতা ২০২৩ সালে ইলিনয় হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে নির্বাচিত হন।
ষষ্ঠজন স্যাম রাসুল। তার বাবা-মা ১৯৬৭ সালের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের পর পশ্চিম তীর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ভার্জিনিয়ার রোয়ানোক উপত্যকায় বেড়ে ওঠা স্যাম বর্তমানে ভার্জিনিয়া হাউস অফ ডেলিগেটসে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এই ছয়জন নেতার রাজনৈতিক সাফল্য যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ও অভিবাসী বংশোদ্ভূত নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিচ্ছবি। তারা মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে সরব কণ্ঠে কথা বলছেন। নিজেদের ফিলিস্তিনি শিকড় ও মুসলিম পরিচয় লুকিয়ে না রেখে, বরং সেটিকে শক্তি ও আত্মপরিচয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (CAIR) জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুসলিম প্রার্থীদের অংশগ্রহণ ও বিজয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা বোর্ডের মতো ক্ষেত্রেও মুসলিম নেতাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান হচ্ছে।
তবে এই অগ্রযাত্রা সহজ নয়। ধর্ম ও বর্ণভিত্তিক মানসিকতা, ইসলামভীতি এবং পরিচয়জনিত প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েও তারা এগিয়ে চলেছেন দৃঢ় মনোবল নিয়ে। বিশ্লেষকদের মতে, এই তরুণ প্রজন্ম যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·