আমাদের বিশ্বাস, আমরা একাই সরকার গঠনের অবস্থানে আছি

৩ দিন আগে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নির্বাচনে তার দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে বলেও মনে করছেন তিনি।

 ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন তারেক রহমান। সোমবার (৬ অক্টোবর) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।  

 

তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। দেশে একটি ‘অবাধ ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে।

 

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া প্রথম সরাসরি ইংরেজি সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, 

আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা জিতব। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা একাই সরকার গঠনের অবস্থানে আছি।

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আমার বাংলাদেশে ফেরার সময় খুব কাছে।’ 

 

আরও পড়ুন: যত দ্রুত নির্বাচন হবে, তত দ্রুত দেশে স্থিতিশীলতা আসবে: তারেক রহমান

 

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, যারাই বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার গঠন করুক, তাদের দুর্বল অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মুখোমুখি হতে হবে।

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করায়, ফেব্রুয়ারির ভোটের পর তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হবেন বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

 

আর ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেই তারেক রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি ‘ফ্যাসিস্ট দল’ এবং বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ, বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত নতুন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে সরকার গঠনে প্রস্তুত। 

 

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব। তারা তরুণ, তাদের ভবিষ্যৎ আছে।’

 

বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কিছু দিকও তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু পোশাক রফতানির ওপর নির্ভর না করে আমাজন, ই-বে ও আলিবাবার মতো অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহকেন্দ্র হতে পারে।’ 

 

আরও পড়ুন: আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ: তারেক রহমান

 

এদিকে আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেয়া হবে কি না, এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট উত্তর দেননি। 

 

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, 

যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে?

 

নির্বাচিত হলে বিদেশে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারে ইউনূস সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছেন তারেক রহমান। 

 

সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন