সোমবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের উত্তর উল্যাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মানিক সরকার ভরতখালী ইউনিয়নের উত্তর উল্যাহ গ্রামের শ্রী মোনজ সরকারের ছেলে।
এ দিকে আত্মহত্যার আগে মানিক সরকার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আজ নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে, খুব একা একাও লাগছে। নিজের ভাগ্যের প্রতি ভীষণ অভিযোগ রয়েছে, তবুও বাস্তবতাটা তো মেনে নিতেই হবে। বিগত ৩-৪ বছর ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে কষ্টের পরিমাণ বোঝাতে পারবো না, তবে এত কষ্টের চেয়ে মৃত্যু সহজ মনে হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করে দিও মা, তোমাদের জন্য কিছু করতে পারলাম না।’
মানিক সরকারের বড় ভাই সুজন কুমার সরকার জানান, রাত ২টার দিকে মানিক সরকার ঘর থেকে বের হন। ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় আমরা তাকে খুঁজতে বের হই। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির অদূরে আম গাছের নিচে তাকে নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমার মা চিৎকার দিয়ে ওঠেন। পরে দ্রুত তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ‘তুমি জানতা, তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি’ ফেসবুকে লিখে রাবি ছাত্রের ছাদ থেকে লাফ
তিনি জানান, চাকরি না হওয়ায় মানিক দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এ কারণে ভাই বিষপান করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মনির হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানিক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ঘটনাটি একটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

২ সপ্তাহ আগে
৫






Bengali (BD) ·
English (US) ·