মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এটি উদ্বোধন করা হয়।
এই আট স্তম্ভ আটটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে নির্দেশ করে: সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি-নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘আট স্তম্ভের অবয়বের চেয়ে আট স্তম্ভে লিখে রাখা বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই শব্দগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই ব-দ্বীপের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ভাস্কর্য-প্রকল্প নির্মিত হলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির পক্ষে কিছু করলেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: আবরারের মৃত্যুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রাজনীতির প্যারাডাইম বদলাতে হবে: রেজাউল
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘আবরার ফাহাদের স্মৃতি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া আবরার ফাহাদকে কেবল একজন ব্যক্তি নন, বরং ‘একটি চেতনা, একটি আদর্শ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, ‘আবরার ফাহাদ ২০১৯ সালে যে বীজ বপন করেছিলেন, সেটি একটি মহিরুহ হয়ে ২০২৪ সালের ২৬ জুলাইয়ে পরিণত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ, ভাই আবরার ফাইয়াজ প্রমুখ।