কাতারের দোহায় সম্প্রতি বৈঠকে বসে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। সীমান্তে ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ ও নিরাপত্তা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশ সিদ্ধান্ত নেয় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার। আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আফগানিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দেশটির মন্ত্রী মুল্লা ইয়াকুব ও তালেবান প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। পরে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে দুই দেশ।
এ চুক্তিকে ‘সঠিক পথে প্রথম পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। বলেন, তুরস্কে পরবর্তী বৈঠকে এমন একটি পর্যবেক্ষণ কাঠামো গঠন করা হবে, যা সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের উৎস সুনির্দিষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
চুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতার ও তুরস্ক দুই দেশই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। দোহায় আলোচনার পর এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানায়, ‘দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথে এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের হাত নেই: আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী
সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে এই সমঝোতা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে কাতারও। এদিকে, তুরস্ক-কাতারের পাশাপাশি পাকিস্তান-আফগানিস্তান চুক্তিকে স্বাগত জানায় ওমান। একইসঙ্গে, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতার প্রশংসা করে দেশটি।
মার্কিন কূটনীতিক জালমে খলিলজাদ এই চুক্তিকে ‘দোহা থেকে আসা সুখবর’ বলে আখ্যা দেন। তবে সাবেক মানবাধিকারমন্ত্রী শিরিন মাজারি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান-এর প্রসঙ্গ অনুপস্থিত, যা ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি করতে পারে।
আগামী ২৫ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান পরবর্তী বৈঠক বসবে, যেখানে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তি চুক্তিতে রূপ নিতে পারে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৪








Bengali (BD) ·
English (US) ·