আফগানিস্তানে ফের হামলা, কিছুক্ষণ পরই ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা পাকিস্তানের

১ সপ্তাহে আগে
সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য আফগানিস্তানের সাথে একটি ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, ‘তালেবানের অনুরোধে, আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য, উভয় পক্ষের পারস্পরিক সম্মতিতে, পাকিস্তান সরকার এবং আফগান তালেবান সরকারের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

 

আরও বলা হয়েছে, ‘এই সময়ের মধ্যে উভয় পক্ষ গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে এই জটিল কিন্তু সমাধানযোগ্য সমস্যার একটি ইতিবাচক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাবে।’

 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: দাবি মুখপাত্রের /পাকিস্তানি বাহিনীর ট্যাঙ্ক জব্দ করে চালিয়ে নিয়ে গেল তালেবান! (ভিডিও)

 

এর আগে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভি নিউজ জানায়, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশ এবং রাজধানী কাবুলে ‘নির্ভুল হামলা’ চালিয়েছে। 

 

پاک فوج کی افغان طالبان کی جارحیت پر جوابی کارروائی ، اہم ٹھکانے تباہ کردیئے

پاک فوج کی جانب سے افغان طالبان کے اہم ٹھکانوں کو کامیابی سے نشانہ بنایا گیا، سکیورٹی ذرائع

یہ Precision Strikes افغان صوبہ قندھار میں کی گئیں، سکیورٹی ذرائع

ان سٹرائیکس کے نتیجے میں افغان طالبان… pic.twitter.com/tFmRFvj5F4

— PTV News (@PTVNewsOfficial) October 15, 2025

 

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তালেবান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগান তালেবানদের গুরুত্বপূর্ণ আস্তানাগুলোতে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে।’ 

 

এতে আরও বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে এই নির্ভুল হামলা চালানো হয়। এতে আফগান তালেবান ব্যাটালিয়ন নম্বর ৪ এবং সীমান্ত ব্রিগেড নম্বর ৬ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। কয়েক ডজন বিদেশি এবং আফগান কর্মী নিহত হয়।’ 

 

আরও পড়ুন: সীমান্তে ২০০ তালেবান সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

 

পরবর্তী এক আপডেটে নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিভি জানায়, কাবুলেও হামলা চালানো হয়েছে। 

 

তবে আফগান প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন