রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। এর আগে শনিবার রাতে একই কারণে সংঘর্ষে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ খানসহ ২৫ জন আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ২রা এপ্রিল রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ তার বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দে আতশবাজি পোড়ায়। এতে বাধা দেয় একই গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এরই জেরে পরদিন গত ৩ এপ্রিল সকালে রাজৈরের বেপারীপাড়া মোড়ে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেয় জুনায়েদ ও তার লোকজন। পরে আহত জোবায়েরের বড়ভাই সালমান খান অনিক বাদী হয়ে জুনায়েতকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে রাজৈর থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ২৫
শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অনিক রাজৈর বাজারে গেলে ধাওয়া দেয় জুনায়েদ ও তার বন্ধুরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ। এ সময় ককটেল ফাটিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান, পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এই ঘটনার জেরে রোববার বিকেলেও সংঘর্ষে জড়ায় উভয়পক্ষ। অগ্নিসংযোগ করা হয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় দোকানপাট। বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০০ জন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। কিন্তু কয়েক হাজার মানুষ একত্রে জড়ো হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।