আগের বৈঠকে ট্রাম্পের ‘ধমক’ খেয়েছিলেন জেলেনস্কি, এবার কী হবে?

১৬ ঘন্টা আগে
গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির শেষ বৈঠকটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ভবিষ্যত নিয়ে দুই নেতার মধ্যে হয় বাদানুবাদ। তাই প্রশ্ন উঠেছে, কেমন হতে যাচ্ছে সোমবারের (১৮ আগস্ট) বৈঠক?

আগেরবার ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সমালোচনার মুখে পড়েন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। কারণ, মার্কিন সমর্থনের প্রতি জেলেনস্কির ‘কৃতজ্ঞতার অভাব’ আছে বলে মত ছিল তাদের। 

 

ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে জেলেনস্কিকে বলেছিলেন, ‘হয় আপনি একটি চুক্তিতে যান, নয়তো আমরা বেরিয়ে যাব।’

 

ওই বৈঠকে একজন মার্কিন প্রতিবেদক জেলেনস্কির বিরুদ্ধে স্যুট না পরার জন্য অসম্মানের (ট্রাম্পের প্রতি) অভিযোগও করেছিলেন।

 

বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন, যেটি দেখে মনে হয়েছিল ইউক্রেনের সাথে আলোচনা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে এবং জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে ‘বহিষ্কার’ করা হবে। আদতে শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিতও হয়নি। 

 

আরও পড়ুন: ইউরোপীয় নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘দৌড়ঝাঁপ’, ফোনেই কাজ সারছেন পুতিন!

 

ট্রাম্প ওই সময় লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত যে যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ত থাকলে জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন। তিনি যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত থাকবেন তখন আবার আসতে পারেন।’

 

গত এপ্রিল মাসে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের আগে ভ্যাটিকানে দুই নেতার আবার দেখা হয়েছিল।

 

এদিকে, আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন সাম্প্রতিক বৈঠকের পর থেকে স্থায়ী শান্তিচুক্তির কথা বলে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে ইউক্রেনকে। সোমবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকেও আলোচনার বড় অংশ জুড়েই থাকতে পারে এই ভূখণ্ড ছাড়ের বিষয়টি। 

 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দনবাসকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলে চাপের মুখেই পড়বেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এখন পর্যন্ত রাশিয়া দনবাসের যে অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, সেই অংশ ছেড়ে দিতে হতে পারে ইউক্রেনকে–এমন শঙ্কাও চাপে ফেলছে জেলেনস্কিকে।  

 

আরও পড়ুন: মন্তব্য জেলেনস্কির /রাশিয়াকে কেবল শক্তির মাধ্যমে চুক্তিতে বাধ্য করা সম্ভব, যা ট্রাম্পই পারেন

 

বিবিসি ও রয়টার্সের মানচিত্র বিশ্লেষণ বলছে, লুহানস্কের শতভাগ আর দোনেৎস্কের শতকরা ৭৫ ভাগ, সব মিলিয়ে দনবাসের ৮৮ শতাংশই এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। নতুন এই নিয়ন্ত্রণ রেখা জেলেনস্কির কৌশলগত অবস্থান দুর্বল করার পাশাপাশি জটিল করে তুলছে সামরিক ও কূটনৈতিক অবস্থানও।

 

সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন