আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডিতদের খালাস দেয়া হবে: আহমেদ তৈয়্যব

আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডিতদের খালাস দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার-এ কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেছেন, সব মামলা বাতিল করে দায়মুক্তি দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) সকালে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।

 

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্বল ৫টি ইসলামী ব্যাংক একত্রিত করে একটি ব্যাংকে রূপান্তরের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এজন্য ২০ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেবে সরকার।

 

সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বসে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন উপদেষ্টারা। এসময় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সভাপতি তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয়। শারদীয় দুর্গোৎসব উৎসবমুখরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে আসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও।

 

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহমেদ জানান, 

ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডিতদের খালাস দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সব মামলা বাতিল করে দেয়া হবে দায়মুক্তি।

 

আরও পড়ুন: ৫ ব্যাংককে একীভূতকরণের প্রস্তাব অনুমোদন উপদেষ্টা পরিষদে

 

সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ আইনের অনুমোদন প্রদানের তথ্যসহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। এছাড়াও আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ছাড়াও কয়েকটি আইনের অনুমোদন দেয়া হয় বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বলেও জানান।

 

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, 

ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে উপাত্তের গোপনীয়তা, বিশ্বস্ততা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ ন্যায্যতা, আন্তঃপরিবাহিতা, ডিজিটাল অর্থনীতির সম্ভাবনা সুরক্ষিত করা এবং দায়িত্বশীল উদ্ভাবনকে উৎসাহিতকরণ ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি জারি হলে উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত বা ধারণ, ব্যবহার বা পুনর্ব্যবহার, স্থানান্তর, প্রকাশ, বিনষ্টকরণ, আন্তর্জাতিক মান বজায় সর্বোপরি ডিজিটাল সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

]]>