সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আগস্ট মাসের দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, জাতীয় মহাসড়কেই সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে, মোট ২১৪টি। আঞ্চলিক সড়কে ১৩৫টি, শহরের সড়কে ৬০টি এবং গ্রামীণ সড়কে ৪২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে বরিশাল বিভাগে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত গতি ও নিয়ন্ত্রণ হারানো। এ ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, সড়কের ত্রুটি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা ও অদক্ষতা, ট্রাফিক আইন না মানা এবং দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দুর্ঘটনার বড় কারণ। তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো এবং মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচলকেও বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সড়কে ঈদযাত্রায় প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
সংগঠনটি দুর্ঘটনা রোধে কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা সার্ভিস রোড নির্মাণ, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর পূর্ণ বাস্তবায়ন।
পাশাপাশি ট্রাফিক আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
]]>