এরমধ্যেই ভারতের জন্য নতুন ধরনের চীনা হুমকি দেখা দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে। প্রদেশটির তাওয়াং থেকে ১০৭ কিলোমিটার দূরে এবং ম্যাকমোহন লাইনের ঠিক ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত তিব্বতের লুনজে রয়েছে চীনা বিমান ঘাঁটি। আর সে ঘাঁটিতেই নতুন করে ৩৬টি বিমান বাংকার তৈরি করেছে বেইজিং।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধরা পড়া স্যাটেলাইট চিত্রে শক্তপোক্ত কংক্রিটের তৈরি প্রশাসনিক ব্লক ও প্রশস্ত অ্যাপ্রন স্পেস দেখা গেছে। এর ফলে সীমান্তের খুব কাছেই যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের সুযোগ পাচ্ছে চীন। শি প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে কৌশলগত হুমকি হিসেবে দেখছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছর পর ভারত-চীন সরাসরি ফ্লাইট চালু
এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া বলেন, লুনজেতে ৩৬টি বাংকার নির্মাণের অর্থ হলো ভবিষ্যতে যদি সংঘাত হয়, তাহলে চীন সেখান থেকেই তার ফাইটার ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার দিয়ে সরাসরি অভিযান চালাতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলোতে হয়ত গোলাবারুদ ও জ্বালানি মজুত রাখা হচ্ছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর আরও বেশ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা এটিকে গুরুতর সংকেত হিসেবে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ভারত-চীনকে হুমকি দিয়ে কিছু হবে না, যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল রাশিয়া
চীনের এই লুনজে ঘাঁটি এখন তিব্বতের টিংরি, বুরং ও ইয়ারকান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত বিমানঘাঁটি নেটওয়ার্কের অংশ। এসব ঘাঁটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে মাত্র ৫০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। এ কারণে ভারতের অরুণাচল, সিকিম, উত্তরাখণ্ড ও লাদাখের ঘাঁটিগুলোও এখন তাদের নজর ও নিশানার মধ্যে।
চীনের সিএইচ–ফোর ড্রোন ১৬ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম। ২০২৯ সাল থেকে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন পাওয়া শুরু করবে বলে জানা গেছে। আর এতে চীনের সঙ্গে কিছুটা সমতা আসতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·