২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হৃদয়। ঘটনার ভিডিও থাকলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাননি তার স্বজনরা।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা হৃদয়ের পরিবার আজও বিশ্বাস করতে পারেন না ছেলেকে হারিয়েছেন। হৃদয় ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। লেখাপড়ার পাশাপাশি গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন তিনি। তার পাঠানো টাকায় কোনোরকমে চলতো সংসার। এখন সেই আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। বৃদ্ধ বাবা ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও শোকে আর ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। এনজিওর ঋণ পরিশোধ না করতে পেরে আরও সংকটে পড়েছে পরিবারটি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চিরুনি অভিযান, আটক ৬৯
হৃদয়ের মা-বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘আমরা শুধু আমাদের ছেলের হাড়গোড় ফেরত চাই। আর যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের ফাঁসি চাই। অন্তত শহীদদের তালিকায় যেন হৃদয়ের নাম উঠে।’
হৃদয়ের বোন জেসমিন আক্তার বলেন, ‘হৃদয় লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও ভালো ছিল। কিন্তু মরদেহ খুঁজে না পাওয়ায় আমরা চরম হতাশায় আছি।’
ঘটনার পর গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তবে এখনও নিখোঁজ হৃদয়ের কোনো সন্ধান মেলেনি।
হৃদয়ের বোন ও ভগ্নিপতিও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তার মরদেহ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
]]>