মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি যশোর থেকে দুদকের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) শামিমার দফতর থেকে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকাসহ তিনি ও তার সহযোগী এনজিও সদস্য হাসিবুরকে ধরলেও কেবল হাসিবুরকে আটক দেখিয়ে মূল অভিযুক্ত কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারকে ছেড়ে দিয়েছিল। এ সময় অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাতে দুদকের গাড়িসহ কর্মকর্তাদের আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে জনতার কাছে স্বচ্ছতার আশ্বাসে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার নতুন করে তদন্ত শেষে কাস্টমস কর্মকর্তা শামিমাকে প্রধান আসামি ও তার সহযোগী এনজিও সদস্য হাসিবুর রহমানকর দ্বিতীয় আসামি করে এজাহার দাখিল করে দুদক।
গ্রেফতার আসামি রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা যশোরের নাজির শংকরপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং বহিরাগত এনজিও সদস্য হাসিবুর রহমান বেনাপোল গ্রামের নাজমুল হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহারে দুদক কর্মকর্তা যশোর শাখার উপপরিচালক আল আমিন জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তার আমদানি, রফতানি পণ্য শুল্কায়নে সিঅ্যান্ডএফ ও দাদালদের সাথে যোগসাজশে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় তিনি ও তার এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল: আমদানি বাণিজ্য ১৫ কোটি, ভ্রমণে ১৪ লাখ টাকা রাজস্ব আয়
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঘুষ বাণিজ্যের কারণে আমদানিতে খরচ বাড়ে। কোনো অনিয়ম না থাকলেও কাস্টমস সদস্যরা ফাইল আটকে টাকা আদায় ও হয়রানি করে। এর আগে ঘুষের ২৫ লাখ টাকাসহ বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেনকে গোয়েন্দা সংস্থা ঢাকা বিমান বন্দর থেকে আটক করেছিল।
সাধারণ ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে বেনাপোল কাস্টমসে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ থাকলেও এই প্রথম দুদকের অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে দুদকের দুর্নীতির কারণে অপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। স্থানীয় জনতা ও সাংবাদিকদের জেরার মুখে অবশেষে দুদক সদস্যরা মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়।