অনিয়মে স্থবির উন্নয়ন, কুমিল্লায় কালো তালিকাভুক্ত ৪০ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

৩ সপ্তাহ আগে
কুমিল্লায় উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও সময় ক্ষেপণের অভিযোগে ৪০ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা।

কুমিল্লায় এলজিইডি’র বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার এবং নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তদন্তে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবার ৪০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

 

এলজিইডি কুমিল্লা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফ জামিল জানান, নানান অনিয়ম ও কাজ না করে ফেলে রেখে চলে যাবার কারণে কিছু ঠিকাদারের কাজ বাতিল করা হয়েছে আবার কিছু ঠিকাদারকে জরিমানা করা হয়েছে।

 

এদিকে আরো অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে বহু প্রকল্পে। এর মধ্যে তিতাস উপজেলার মজিদপুর তিতাস নদীর শাখার উপর ব্রিজের কাজ দেখানো হয়েছে ৭০ শতাংশ। অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন না করেই লাপাত্তা ঠিকাদার। এ নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর।

 

আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় মূলহোতা কবিরাজ মোবারক গ্রেফতার

 

এলাকাবাসী বলেন, ঠিকার কাজ ফেলে রেখে চলে যাওয়া ও কাজ শেষ না করার ফলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। জরুরি রোগীরা এই পথে চলাচলে কষ্ট বেড়েছে।

 

কোটবাড়ি থেকে বড়ধর্মপুর সড়কের সংস্কার কাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। এজন্য মদিনা কনস্ট্রাকশন ও ল্যান্ড মার্ক বিল্ডার্স নামে যৌথ প্রতিষ্ঠানকে ১৩ লাখ টাকারও বেশি জরিমানা করা হয়েছে।


কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এমএ ইঞ্জিনিয়ারিং, জান্নাত কনস্ট্রাকশন, পাইওনিয়ার কনস্ট্রাকশন, গ্রিন-এমকে, মাইশা বিল্ডার্সসহ আরও অনেকে রয়েছে।


তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দায় রয়েছে বলে মনে করছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

 

আরও পড়ুন: ৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে কুমিল্লায় বিএনপির গণমিছিল

 

সনাক কুমিল্লা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি  শাহ মো. আলমগীর খান বলেন, বিগত সরকারের আমলে ঠিকাদার ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কাজ বন্টন হয়। এরপর দুই পক্ষ যোগ সাজসে প্রকল্পের কাজ না করেও টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

 

ঠিকাদারদের অনিয়মের শিকার হয়ে বছরের পর বছর় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তবে এলজিইডি’র সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপে উন্নয়ন কাজে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন