নেটওয়ার্ক পেতে তাই তো গ্রামের বিভিন্ন বয়সী কিশোর-তরুণ-যুবকরা ছুটে যান মহানন্দা নদীর ধারে। বাধ্য হয়েই অনেকেই ব্যবহার করছেন ভারতীয় সিম কোম্পানির নেটওয়ার্ক।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা ঘাইবাড়ি, বালুটুঙ্গি, পীরগাছি, বারইপাড়া, পুরাতন বাড়ইপাড়া, বাবুরটোলা, বাইদাপাড়া, গোলাবাড়ি, বাগানপাড়া, চুরিয়ালীর মোড়, বিশ্বাসটোলার মোড় গ্রামের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্রাউজিং বা চাকরির আবেদন, প্রবাসে থাকা স্বজনদের সাথে ভিডিওকলে কথা বলা, বাড়ির বিদ্যুৎ বিল দেয়া অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের টাকা উঠাতে গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন নদীর পাড়ে। যেখানে এসে ভারতীয় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্যে সারছেন নিজেদের কাজ।
গ্রামগুলোতে রয়েছেন শতাধিক ফ্রিলান্সার। তাদের দাবি, ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় বিঘ্ন ঘটে কাজে। বাতিল করতে হয় অনেক কাজ। এতে লোকসানে তারা৷
এছাড়া নেটওয়ার্ক সমস্যায় গ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যহত হয় শিক্ষা ব্যবস্থা। নেটওয়ার্ক না পেয়ে অর্ডার বাতিল হয় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন অপারেটরে লিখিত অভিযোগ দিলেও মেলেনি সুরাহা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, এনিয়ে অপারেটরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
নেটওয়ার্ক সমস্যার কথা স্বীকার করে অপারেটরগুলো জানায়, এ বিষয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
]]>