রোববার (১২ জানুয়ারি) বিপিএলের ১৮তম ম্যাচে রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিয়ে দুর্বার রাজশাহীকে ১৪৯ রানে হারিয়েছে ঢাকা। বিপিএলের ১১ আসরের মধ্যে এটিই কোনো দলের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।
রানের দিক থেকে বিপিএলে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডটি এতদিন চিটাগাং কিংসের দখলে ছিল। ২০১৩ সালের আসরে সিলেট রয়্যালসকে ১১৯ রানে হারিয়েছিল চিটাগাং। ১২ বছর পর সেই রেকর্ড এবার ভাঙল ঢাকা।
অবিশ্বাস্য জয়ের পরেও অবশ্য পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকছে ঢাকা। ৭ ম্যাচে কেবল ২ পয়েন্ট দলটির। দুর্বার রাজশাহী ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে খুলনা।
আরও পড়ুন: লিটন ও হাসানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি উপলক্ষে আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন লিটন দাস। সেই লিটনই আজ রাজশাহীর বিপক্ষে হাঁকালেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। মাত্র ৪৪ বলেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন লিটন। বিপিএল ইতিহাসে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে যা দ্রুততম সেঞ্চুরি। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫৫ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থেকেছেন টাইগার ওপেনার।
লিটনের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির দিনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তানজিদ তামিমও। লিটনের পর ৬২ বলে সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ব্যাটারও। এটি চলতি বিপিএলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৬৪ বলে ১০৮ রান করে ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ। তবে এর আগে বড়সড় এক রেকর্ডের মালিক হন তিনি এবং লিটন।
ওপেনিং জুটিতে আজ লিটন-তানজিদ ২৪১ রানের জুটি গড়েছেন। বিপিএল তো বটেই, সমগ্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ইতিহাসেই এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগের সর্বোচ্চ রানের জুটিটি ছিল ২২৯ রানের। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সিতে এই রেকর্ড গড়েছিলেন বিরাট কোহলি এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স।
তানজিদের বিদায়ের পর উইকেটে এসেই দারুণ এক ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন সাব্বির রহমান। ২ বলে ৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ঢাকা ক্যাপিটালস।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ পড়ার দিনে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড লিটনের
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানের সমুদ্রে হাবুডুবু খেয়েছে দুর্বার রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে যেখানে ঢাকার ব্যাটাররা বোলারদের কচুকাটা করেছেন, সেখানেই মুখ থুবড়ে পড়ল রাজশাহীর ব্যাটিং লাইন-আপ। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন মোহাম্মদ হারিস। ৫ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন পাকিস্তানি ব্যাটার। তিনে নামা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন।
পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তোলে রাজশাহী। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই যেন হেরে বসে দুর্বার রাজশাহী। শেষ দিকে রায়ান বার্ল কিছুটা লড়াই চালিয়েছেন। তাতে হারের ব্যবধান কমেছে শুধু। বার্ল ৩২ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। রাজশাহী অলআউট হয়েছে ১০৫ রানে। ১৪৯ রানে জিতেছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
ঢাকার হয়ে ২টি করে উইকেট তুলেছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, আবু জায়েদ রাহি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং ফারমানউল্লাহ। একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।