২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। এ সময় রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। যদিও কাস্টমসের হিসাব, বছর ব্যবধানে এসময়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কমেছে ৬ শতাংশ।
বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজস্ব আহরণের দিক দিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের পরেই অবস্থান বেনাপোল স্থল বন্দরের। প্রতিবছর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বেনাপোল বন্দর থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন / বেনাপোল বন্দরে বন্ধ ফল আমদানি, বাড়ছে দাম
বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদ আলী জানান, ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাসে কাজ করছে বন্দর শ্রমিকরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ জানান, বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়লে এপথে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানির পরিমাণ আরও বাড়বে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও রাজস্ব আয়ের এমন প্রবৃদ্ধি অর্জনে সম্প্রতি বেনাপোল বন্দরের শূন্যরেখায় ৪১ একর জমিতে চালু করা কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল বড় ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার কমার্সের। সংগঠনটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, বন্দর কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখছে। আগামীতে এ পথে আমদানি ও রাজস্বের পরিমাণ আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: যাতায়াত কমায় ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা
রাজস্ব আহরণ বাড়াতে বাণিজ্যসহজীকরণে মনোযোগ বাড়ানোর কথা জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্র্যাফিক) ফয়সাল আহসান সজীব জানান, বন্দরের নতুন করে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখবে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, আমদানি কিছুটা কমলেও রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। সবার সহযোগিতায় রাজস্ব আয়ে এ সফলতা এসেছে।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ২১৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছিল বেনাপোল কাস্টমস।
]]>