৩৯ বলে সেঞ্চুরির পেছনের গল্প জানালেন প্রিয়াংশ

৩ সপ্তাহ আগে
আইপিএলের শুরুটা করেছিলেন স্বপ্নের মতো। প্রথম ম্যাচেই খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। তবে পরের দুই ম্যাচে পথ হারান প্রিয়াংশ আর্য। লখনৌয়ের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ রানে আউট হওয়ার পর তৃতীয় ম্যাচে আউট হন প্রথম বলে। তবে এরপরই রাজসিক প্রত্যাবর্তন ঘটান দিল্লির ২৪ বছরের এই তরুণ খেলোয়াড়।

চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে অনবদ্য এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন প্রিয়াংশ। চেন্নাইয়ের বোলারদের সামনে দলের অন্য ব্যাটাররা যখন নাকানিচুবানি খাচ্ছিল, তখন একাই হাল ধরেন প্রিয়াংশ। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে হন আইপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান।

 

আগের দুই ম্যাচে বাজে পারফর্ম করার পর ঘুরে এমনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না প্রিয়াংশের জন্য। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন পাঞ্জাবের কোচ রিকি পন্টিং এবং শ্রেয়াস আইয়ার। শতকের পর এক সাক্ষাৎকারে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রিয়াংশ।

 

তিনি বলেন, “পন্টিং স্যর আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, প্রথম বলে যে কেউ আউট হতে পারে। পরের ম্যাচেও যদি প্রথম বল নিজের জায়গায় পাই তা হলে আবার ছক্কা মারতে বলেছেন। আমি সেটাই করেছি।'  

 

আরও পড়ুন: ধোনি এখন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক

 

চেন্নাইয়ের বিপক্ষে প্রথম বলেই খলিল আহমেদকে ছক্কা মেরেছেন প্রিয়াংশ। অর্থাৎ কোচের পরামর্শ ভালোভাবেই মাথায় রেখেছেন তিনি। পন্টিংকে নিয়ে প্রিয়াংশ আরও বলেন, 'পন্টিং স্যর আমাকে পুল শটে আরও উন্নতি করতে বলেছেন। টেকনিকে কোনও পরিবর্তন করতে বলেননি। মানসিকতায় পরিবর্তন করতে বলেছেন। আমি চেন্নাইয়ের বিপক্ষে অনেকগুলো পুল মেরেছি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মেরেছি। পন্টিং স্যর বার বার আত্মবিশ্বাসের উপরেই জোর দিয়েছেন।'  

 

পন্টিংয়ের মতোই প্রিয়াংশকে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারও, 'চেন্নাই ম্যাচের আগে নেটে শ্রেয়াস ভাই আমাকে আমার স্বাভাবিক খেলা খেলতে বলে। বল দেখে যে শট মাথায় প্রথম আসবে সেই শটই মারতে বলে। আইপিএল শুরুর আগেই আমাকে শ্রেয়াস ভাই বলেছিল, আমি ১৪টা ম্যাচই খেলব। ওরা দুজন আমার উপর ভরসা রেখেছে। স্বাধীনতা দিয়েছে। আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তাই এতটা ভাল খেলতে পারছি।' 
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন