শনিবার (৩ মে) পাকিস্তানের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বন্দর ও শিপিং শাখার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বন্দর ও শিপিং শাখা থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক সমুদ্র পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সমুদ্র সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অবিলম্বে যে ব্যবস্থা নিয়েছে সেগুলো হলো-ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজগুলোকে পাকিস্তানের কোনো বন্দরে ভিড়তে দেয়া হবে না, পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজগুলো কোনো ভারতীয় বন্দরে যাবে না।
আরও পড়ুন: এবার পাকিস্তানি রেঞ্জার্সকে আটক করল ভারত, সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ
তবে এ বিশেষ ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ‘কেস-টু কেস’ ভিত্তিতে অনুমতির বিষয়টি আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে।
এর আগে শনিবার ভারতের জাহাজ চলাচলবিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে জানান, পাকিস্তানের পতাকাবাহী জাহাজকে ভারতের কোনো বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। সেই সঙ্গে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ পাকিস্তানের কোনো বন্দরে যাবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জনগণ ও ভারতের জাহাজ চলাচলের স্বার্থ রক্ষায় ভারতীয় সম্পদ, কার্গো ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পহেলগামে হামলার গোয়েন্দা তথ্য আগেই ছিল!
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। হামলার জন্য নয়াদিল্লি পরোক্ষভাবে ইসলামাবাদকে দায়ী করে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা। এ ঘটনার পর পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামাবাদও।
]]>