৩৮৬২৪ কোটির রেলপথে নেই যাত্রা বিরতি, স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল তাদের!

৩ সপ্তাহ আগে
নির্মাণ করা হয়েছে স্টেশন, নিয়োগ করা হয়েছে জনবল। যাত্রীদের জন্য রয়েছে সব ধরনের সুবিধা। অথচ ৩৮ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যশোরের জামদিয়া, পদ্মবিলা ও রূপদিয়া জংশনে নেই কোনো ট্রেনের যাত্রা বিরতি। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

দ্রুত স্টেশনগুলোতে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি তাদের। তবে, এ নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।


জানা যায়, পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় জামদিয়া ও পদ্মবিলা নামে নতুন দুটি স্টেশন ও সদর উপজেলায় রূপদিয়া জংশন পুনর্নির্মাণ করা হয়।


স্টেশনগুলো দিয়ে ঢাকা-যশোর নতুন রুটের ঢাকা-বেনাপোল রুটের ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-খুলনা রুটের ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ যাতায়াত করে। অথচ কোনো ট্রেনের যাত্রা বিরতি নেই স্টেশনগুলোতে। যদিও প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হয়েছে স্টেশনের নতুন ভবন ও প্লাটফর্ম। রয়েছে অন্যান্য যাত্রী সুবিধা, নিয়োগ করা হয়েছে পর্যাপ্ত জনবল। তবে দ্রুত স্টেশনগুলোতে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি করেছেন এলাকাবাসী।’


আরও পড়ুন: রেলপথ অবরোধ, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত


এলাকাবাসী বলেন, ‘এখানে ট্রেন থামে না। আমরা ঢাকায় যেতে পারি না। আমাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে। আমরা চাই এখানে ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেয়া হোক। আমরা যেন সুবিধা ভোগ করতে পারি।’


তারা আরও বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্টেশন তৈরি করেছে। তবে এটা আমাদের কোনো কাজে আসছে না। আমরা চাই এখানে ট্রেন থামুক।’


এ বিষয়ে যশোর রেলের স্টেশন মাস্টার মো. আয়নাল হাসান বলেন, ‘আন্তঃনগর ট্রেনের নতুন এসব স্টেশনে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। এগুলো ইন্টারসিটি ট্রেন, তবে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে যাত্রা বিরতি আছে। যখন লোকাল কমিউটার চালু হবে, তখন ওই সব স্টেশনে ট্রেনগুলো দাঁড়াবে।’


আরও পড়ুন: অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রা বিরতি


যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, স্টেশনগুলো ট্রেনের যাত্রা বিরতির জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা আছে। এ নিয়ে চিঠিও দেয়া আছে। সেখানে এই স্টেশনে যাত্রা বিরতির কথা বলা আছে এবং জনগণ যেন এর সুবিধা ভোগ করতে পারেন।


পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৩৮ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর এ রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন