৩ গোলে এগিয়ে থেকেও সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় রিয়ালের

২ সপ্তাহ আগে
স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে কোনোমতে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোববার (৪ মে) ৩ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোসরা। এই জয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান চারে ফিরিয়ে আনল মাদ্রিদের দলটি।

ম্যাচের ৩৩মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন গিলার। এরপর ৩৯ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। দুই গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় লস ব্লাঙ্কোসরা। বিরতির পর ম্যাচের ৪৮ মিনিটে আরও একটি গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন এমবাপ্পে। এমন অবস্থায় বড় জয়ের স্বপ্নই দেখছিল রিয়াল মাদ্রিদ। 

 

তবে বড় জয়ের আশা তো দূরে থাক, ৭ মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল হজম করে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই যাচ্ছিল রিয়াল। তবে কোনোমতে শেষ রক্ষা পায় আনচেলত্তির দল। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের কষ্টার্জিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। 

 

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণ কিছু সেভ করেছেন রিয়ালের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। প্রায় ৪৬ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখে গোলের জন্য ১৪টি শট নেয় সেল্টা, যার মধ্যে ৭টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে রিয়াল শট নেয় ১৭টি, লক্ষ্যে ছিল ৬টি। 

 

প্রতিপক্ষের মাঠে পঞ্চম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় সেল্টা ভিগো। উগো সোতেলোর কর্নারে একটুর জন্য হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মার্কোস আলোন্সো। ম্যাচের ৭ মিনিটে ডি বক্সে বল পেয়ে যান বোর্হা ইগলেসিয়াস। কিন্তু সেল্টা ভিগোর ফরোয়ার্ড শট নেওয়ার আগেই পেছন থেকে এসে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রাউল আন্সেসিও। 

 

আরও পড়ুন: উড়ছেন রাফিনিয়া, শিরোপার পথে আরও একধাপ এগিয়ে বার্সা

 

সোতেলোর সেই কর্নার দারুণ এক হেড করেন আলোন্সো। তার হেড ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কোর্তোয়া। কর্নারের পর প্রতি আক্রমণে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল রিয়াল। লুকাস ভাসকেসের শট ফেরাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন ইয়োয়েল লাগো। ঝাঁপিয়ে সেটি ফিরিয়ে দেন সেল্টার গোলরক্ষক। 

 

৩৩তম মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে নেন গিলের। কর্নারের পর লুকাস ভাসকেসের কাছ থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে যান তিনি। সেখান থেকে আড়াআড়ি শটে বল জালে জড়ান তরুণ এই মিডফিল্ডার। 

 

তার ৬ মিনিট পর সমতায় ফিরতে পারতো সেল্টা ভিগো। ইগলেসিয়াসের শট অহেলিয়া চুয়ামেনির পায়ে লেগে অনেকটা বাউন্স করে জালের দিকে যাচ্ছিল। ঝাঁপিয়ে সেটি ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক কোর্তোয়া। এরপর প্রতি আক্রমণ থেকে নিখুঁত শটে ব্যবধান ২-০ করেন এমবাপ্পে। 

 

দুই গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান আরও বাড়ায় তারা। ৪৮তম মিনিটে গিলেরের রক্ষণ চেরা পাস পেয়ে বাম পায়ের আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন এমবাপ্পে। ব্যবধান হয় ৩-০। 

 

আরও পড়ুন: ব্রাজিলের কোচ হওয়ার জন্যই কী আল হিলাল ছাড়লেন জেসুস?

 

এই গোলে রিয়ালের হয়ে অভিষেকে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তির আরও কাছে পৌঁছে গেলেন এমবাপ্পে। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইউরোপের সফলতম দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫ ম‍্যাচে ৩৭ গোল করেছিলেন ইভান জামোরানো। ৫২ ম‍্যাচে এমবাপ্পের গোল হলো ৩৬টি। 

 

৬৯তম মিনিটে হাভি রদ্রিগেসের গোলে ব্যবধান কমায় সেল্টা। কর্নার থেকে পাবলো দুরানের ব‍্যাকহিল গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ভাসকেস। ফিরতি বলে খুব কাছ থেকে দারুণ শটে বল জালে জড়ান রদ্রিগেস। 

 

তার ৭ মিনিট পর উইলট সুইডবার্গের গোলে ব্যবধান আরও কমায় সেল্টা। একটু আগেই বদলি নামা ইয়াগো আসপাসের সেটা ছিল বলে প্রথম স্পর্শ। সেল্টা অধিনায়কের রক্ষণ চেরা পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান সুইডিশ ফরোয়ার্ড। ঠাণ্ডা মাথার আড়াআড়ি শটে কোর্তোয়াকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান তিনি। 

 

এরপর বেশ কয়েকবার গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করেও সমতা ফেরাতে পারেনি সেল্টা ভিগো। শেষ পর্যন্ত স্নায়ু চাপের কঠিন সময়টুকু কোনোমতে কাটিয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৪ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে বার্সেলোনা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন