এর আগে গত শুক্রবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
৩২ বছর বয়সি আকবর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে নগরী বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আকবরের বাবা মো. মঞ্জু বলেন, আমার সন্তানকে কারা মেরেছে জানি না। কার সন্তানের দোষ আমি দেবো! তবে যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিচারের দাবি করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোষীদের যাতে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
তিনি বলেন, শনিবার (২৪ মে) দুপুরে আমার ছেলের অপারেশন হয়। ডাক্তার বলছেন, সুস্থ আছে। সন্ধ্যার পর ভাত খেতে চেয়েছিল সে। কিন্তু রাতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে ছিল আমার শক্তি। সেই শক্তিকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। বৃদ্ধ বয়সে আমি কী করব!
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম বলেন, হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন আকবর। এসময় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল গিয়ে আকবরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি লুটিয়ে পড়লে অস্ত্রধারীরা চলে যান।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গা সৈকতে খেলার সময় গুলিবিদ্ধ শিশুটি এখন শঙ্কামুক্ত
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবর চট্টগ্রামের আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত। গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা শপিংমল থেকে গ্রেফতারের পর সাজ্জাদ এখন কারাগারে আছেন। তবে ছোট সাজ্জাদের অনুসারী সন্ত্রাসীরা এখনও তৎপর আছেন। গত ২৯ মার্চ নগরীর বাকলিয়ায় তার অনুসারীরা আরেক সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনকে বহনকারী প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে দুজন নিহত হন। ঢাকাইয়া আকবরের ওপর হামলার ঘটনায়ও ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা জড়িত বলে তার স্বজনদের অভিযোগ।
]]>