গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের বার্ষিক হুমকি মূল্যায়নে বলা হয়েছে, চীনের প্রচলিত অস্ত্র দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে। সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে মার্কিন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করতেও সক্ষম বেইজিং। এতে আরও বলা হয় যে, বেইজিং ২০৩০ সালের মধ্যে শীর্ষ এআই শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়া ইরান, উত্তর কোরিয়া ও চীনের সাথে মিলে প্রভাব বিস্তারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছে।
আরও পড়ুন:গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ
জানানো হয়, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সম্ভবত ভুয়া খবর তৈরি, ব্যক্তিকে অনুকরণ এবং আক্রমণাত্মক নেটওয়ার্কগুলোকে সক্ষম করার জন্য বৃহৎ ভাষার মডেল ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল।
এদিকে, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড সিনেট গোয়েন্দা কমিটিকে বলেন, চীনের সামরিক বাহিনী হাইপারসনিক অস্ত্র, স্টিলথ বিমান, উন্নত সাবমেরিন, শক্তিশালী মহাকাশ ও সাইবার যুদ্ধ উপকরণ এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বৃহত্তর ভাণ্ডারসহ উন্নত সক্ষমতা প্রয়োগ করছে । তিনি বেইজিংকে ওয়াশিংটনের ‘সবচেয়ে সক্ষম কৌশলগত প্রতিযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এছাড়া প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী এআই শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে দেয়ার জন্য চীনের প্রায় নিশ্চিতভাবেই একটি বহুমুখী, জাতীয় পর্যায়ের কৌশল রয়েছে।
এর আগে মাদক ফেন্টানাইল রাসায়নিকের চালান বন্ধে বেইজিং যে ব্যর্থতা দেখিয়েছে, তার শাস্তি হিসেবে ট্রাম্প চীনের সকল পণ্য আমদানির উপর ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেছেন।
তবে চীন এই সংকটে ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছে। যা মার্কিন ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রায় মৃত্যুর প্রধান কারণ। বিষয়টি ট্রাম্প প্রশাসন এবং চীনা কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের একটি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, মার্কিন সামরিক আধিপত্য বজায় রাখার অজুহাত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে চীনকে হুমকি মনে করে আসছে।
আরও পড়ুন:স্ত্রীর গ্রেফতারেও ‘ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে অনুতপ্ত নন’ ব্র্যাডলি
তিনি বলেন, ‘চীন বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ফেন্টানাইল অপব্যবহার এমন একটি সমস্যা যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই মোকাবিলা করতে হবে এবং সমাধান করতে হবে।’
]]>