‌‘২ জন ছাড়া সম্ভবত কেউ বেঁচে নেই’, দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমানটি কীভাবে বিধ্বস্ত হলো?

১ সপ্তাহে আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, বিমানটিতে এ দুজন ছাড়া বাকি আর কেউ বেঁচে নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে অবতরণের সময় জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

মুয়ান ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হিউন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দমকল বাহিনীর ধারণা পাখির ধাক্কা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, বিমানের পেছনের অংশ অক্ষত দেখালেও এর বাকি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দুর্ঘটনার সময় জেজু এয়ারের ফ্লাইট নম্বটি ছিল সেভেনসি-২২১৬১। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। এটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫

 

প্রাথমিকভাবে দু’জনকে জীবিত উদ্ধারের খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ। তারা ক্রু বলে জাতীয় দমকল বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

 

স্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, বিমানটি রানওয়েতে নামার পর প্রচণ্ড গতিতে ছুটে গিয়ে একটি দেয়ালে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। বিধ্বস্ত বিমানটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।

 

সকাল ৮টা ৩০ মিটিটে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের কথা ছিল বিমানটির। পাইলট বিমানের ক্রটি বুঝতে পেরে প্রথমবার অবতরণের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন। পাইলট আকাশের উপরে উঠে আরেকটি গো-অ্যারাউন্ড করে। কর্তৃপক্ষের মতে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয়।

 

এদিকে, ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রাথমিক তদন্তে পাখির আঘাতের প্রমান পাওয়া গেছে। বিমানটি পাখির ঝাঁকের সাথে সংঘর্ষ হয় এবং পাখি ইঞ্জিনে প্রবেশ করেছে ধারণ করা হচ্ছে।

 

বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বিধ্বস্ত বিমানটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানবন্দরে জরুরি সেবা কার্যক্রম শুরু হয়। দুর্ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ৩২টি ফায়ার ট্রাক এবং বহু সংখ্যক দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন

 

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মক যথাযথভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে। গত শুক্রবার চোই সাং-মক দেশের অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ এই ঘটনা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন