পিরোজপুর থেকে ভান্ডারিয়া এবং কাউখালী-শিয়ালকাঠি হয়ে বরিশালে যাওয়ার সব থেকে সহজ পিরোজপুর-কাউখালী-ভান্ডারিয়া সড়ক। সড়ক ও জনপথের ১৮ কিলোমিটার এ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে ১২ টি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এসব নড়বড়ে ব্রিজ থেকে ছোট-বড় গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয়। কিছু ব্রিজ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে এর ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে আতঙ্কে ভোগেন স্থানীয়রা।
কোথাও কোথাও ব্রিজের ভাঙা স্লাব নিচ থেকে জোড়া তালি দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। জোড়াতালি দেয়া হয়েছে ব্রিজের মাঝেও। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ ব্রিজের পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন। বিধি-নিষেধ থাকলেও গাড়ি চালকরা কর্তৃপক্ষের নিষেধ অমান্য করে চালাচ্ছেন পণ্য বোঝাই গাড়ি।
আরও পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে সড়কের কাজ বন্ধ করলো ইউপি সদস্য, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
৮ থেকে ১০ বছর ধরে এই রুটের ব্রিজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও এ ব্যাপারে উদাসীন কর্তৃপক্ষ। এতে করে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা লিটন শিকদার বলেন, ‘পিরোজপুর কাউখালী ভান্ডারিয়া এ সড়ক দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত চলাচল করি। কিন্তু এ সড়কে বেশকিছু ব্রিজ এবং কালভার্ট রয়েছে। যেখান দিয়ে প্রতিদিন শতশত গাড়ি চলাচল করে। ব্রিজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় এর ওপর থেকে যানবাহন চলাচল করলে দুলতে থাকে। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হতে পারে প্রাণহানি। দ্রুত ব্রিজগুলো মেরামতের দাবি করছি কর্তৃপক্ষের কাছে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, ‘পিরোজপুর-কাউখালী-ভান্ডারিয়া ১৮ কিলোমিটার সড়কের ২টি ব্রিজ ও ১০টি কালভার্ট অপ্রশস্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ। যেগুলো পুনঃনির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পিরোজপুর-কাউখালী-ভান্ডারিয়া এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষের দাবি, বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ১৮ থেকে ২০ বছর আগে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ।
]]>