ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থগিত হয়ে যাওয়া পিএসএলের এখনও বাকি আছে আটটি ম্যাচ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ করার কথা ভাবছে।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, পিএসএল কর্তৃপক্ষ গত সোমবার (১২ মে) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে দিনক্ষণ ও ভেন্যু ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিল। তবে এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওয়া নিয়ে। অধিকাংশ বিদেশি খেলোয়াড়ই টুর্নামেন্টের বাকি অংশ খেলতে পাকিস্তানে যেতে ইচ্ছুক না আর। এ ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর শক্তির তারতম্য বেড়ে যাবে, যা পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। কারণ কোনো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি বাকিদের চেয়ে তাদের বিদেশিদের ফেরার ব্যাপারে অধিক নিশ্চিত।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে আইপিএল
এ ক্ষেত্রে শূন্যস্থান পূরণে পিসিবি রিপ্লেসমেন্ট ড্রাফট আয়োজনের কথাও ভাবছে। তবে এ ক্ষেত্রে ড্রাফটে নাম লেখানো খেলোয়াড়দের নাম নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে কারণ অধিক চাহিদাসম্পন্ন খেলোয়াড়রা এরই মধ্যে আইপিএল বা পিএসএলেই খেলছেন। এছাড়া ব্রডকাস্টিং টিমের সঙ্গে ১৮ মে (আগের সূচি অনুযায়ী ফাইনালের দিন) চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে, ফলে ম্যাচ প্রডাকশনের লজিস্টিক সাপোর্টও সীমিত করতে হচ্ছে পিএসএল কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে, ২০২৫ এই ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে পিএসএলের দশ বছরের ইজারার মেয়াদ শেষ হবে। যার ফলে চুক্তি নবায়ন ও পুনরায় আলোচনার সুযোগ উন্মুক্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য বর্তম্ন মালিকরা 'অগ্রাধিকার' ভিত্তিতে ডাকের সুযোগ পাবে, যার মানে তারা বাকিদের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার সুযোগ পাবেন। তবে অনেক মালিক স্থায়ীভাবে দলগুলো কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যাতে তারা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পরিবর্তে স্থায়ী মালিকানা ভোগ করতে পারেন।
পিএসএলের খেলা মে'র শেষ দশকে গড়ানো মানে তা বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরেও প্রভাব ফেলবে। আগামী ২১ মে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে যাবার কথা এবং ২৫ মে ফয়সালাবাদে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবার কথা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের ভন্যু ফয়সালাবাদ এবং বাকি তন ম্যাচের ভেন্যু লাহোর। বিসিবি জানিয়েছে, সফরের ব্যাপারে পিসিবির সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে।