স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। ১৮১ আরোহীর মধ্যে দু’জন বেঁচে গেলেও, প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৯ জন। প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে ল্যান্ডিং গিয়ারে গোলযোগের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে ব্ল্যাকবক্সের ডাটা রের্কডারের তথ্য বিশ্লেষণের পরই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার উপ যোগাযোগমন্ত্রী।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার পর শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। হতাহতদের স্বজনদের পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হন অনেকে।
আরও পড়ুন: বিধ্বস্তের একদিন পর জেজু এয়ারের আরেক বিমানে ত্রুটি, বিমানবন্দরে ফেরত
তাদের মধ্যে একজন বলেন,
সত্যি বলতে বছরের শেষ দিকে ছুটি কাটানোর সময়ে এসে এমন দুর্ঘটনায় ভয় আর দুঃখ একসঙ্গে এসেছে। এইতো গেল সপ্তাহে আমি জেজু দ্বীপে গিয়েছিলাম এই এয়ারলাইন্স ব্যবহার করে। এ কারণে আমার আরও বেশি খারাপ লাগছে।
অন্য একজন বললেন,
এটা কল্পনা করতেই গা শিউরে উঠছে। বিমানে ভ্রমণ করতে গেলে এটা আমার সঙ্গেও হতে পারে। এ ঘটনায় আমি কিছু না করতে পারলেও, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন যে ভবিষ্যতে কীভাবে বিমানে উঠবো।
এদিকে, দুর্ঘটনার একদিন পরও অব্যাহত রয়েছে উদ্ধারকাজ। চলছে বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে দেশটির সব এয়ারলাইন্সের সুরক্ষা ব্যবস্থা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মক। এছাড়া, দুর্ঘটনা তদন্তে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ১৩ দিনে ৮ বিমান দুর্ঘটনা, কোথায় কীভাবে
নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মুয়ান বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হন বহু মানুষ। ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
]]>