রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে জেলার আবহাওয়া অফিস।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
এদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে খেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছে না। অপরদিকে, শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হত দরিদ্র মানুষ।
আরও পড়ুন: সাগরে লঘুচাপ, তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের আবু সাঈদ বলেন, ‘৫-৬ দিন থেকে কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা অনেক বেড়েছে। রাতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়তে থাকে। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও সকালে কাজের জন্য বের হতে হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।’
সদরের পাচগাছী এলাকার দিনমজুর আবুল হোসেন বলেন, ‘খুব কুয়াশা পড়ছে। তারপরও কাজের জন্য বেরিয়েছি।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।