রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার দারুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর তার অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এই অনন্য অর্জন করেছে। তার শিক্ষকরা জানান, শুরুতে তাকে দিনে দুই-তিন পৃষ্ঠা করে পড়ানো হতো। পরবর্তীতে কখনো পাঁচ আবার কখনো ১০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত সবক দেয়া হতো।
মুহাম্মদ ওমরের অধ্যবসায় তার মেধার সঙ্গে মিলে তাকে দ্রুত সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। বিকেলে যখন অন্যান্য শিশুরা খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকত, তখন ওমর একাগ্রচিত্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেত। এমনকি হাফেজ হওয়ার দিনও তাকে নিয়মিত পড়তে দেখা গেছে।
তার বাবা জিয়া উদ্দিন, যিনি একজন ব্যবসায়ী, বলেন, ‘আমার স্ত্রীর অনেক ইচ্ছে ছিল আমাদের সন্তান হাফেজ হবে। ওমর সেই ইচ্ছা পূরণ করেছে। এজন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ এবং ছেলের শিক্ষকদের প্রতি অনেক ধন্যবাদ জানাই।’
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা শাহাদাত হোসাইন জামিল বলেন, ‘এ অর্জন আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। এত অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করা সাধারণ কোনো বিষয় নয়। এটি শুধু ওমরের জন্য নয়, মাদ্রাসার জন্যও একটি বড় গর্ব।’
আরও দেখুন: বিশ্বজয় করা মুয়াজ মাহমুদের জীবনের গল্প
মুহাম্মদ ওমর ফারুক জানায়, ‘আমি খুব খুশি যে মাত্র ৮ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছি। বড় হয়ে আমি একজন বড় আলেম হতে চাই।’ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হিফজ শুরু করা ওমর ৮ মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ শেষ করে, যা তাকে একটি উজ্জ্বল তারকার মতো সামনে নিয়ে এসেছে।
পবিত্র কোরআন মুখস্থ করার মর্যাদা সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেন,
যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করবে, মুখস্থ করবে এবং এর ওপর আমল করবে, তাকে কিয়ামতের দিন বলা হবে: পড়তে থাক এবং জান্নাতের উপরের দিকে উঠতে থাকো। জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত পৌঁছাও, যেখানে তুমি কোরআন তিলাওয়াত শেষ করবে।’ (তিরমিজি ২৯১৪)
]]>