১৫ বছর পর সিরিয়া সফরে লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী, শারার সঙ্গে বৈঠক

৩ সপ্তাহ আগে
বাশার আল আসাদকে সরিয়ে স্বৈরাচারমুক্ত এক নতুন সিরিয়া পুনর্গঠনে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশটির বর্তমান নেতা আহমেদ আল শারা। আসাদের পতনের পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি।

স্থানীয় সময় শনিবার (১১ জানুয়ারি) লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে দুই দেশের সীমান্ত সমস্যার পাশাপাশি চোরাচালান এবং লেবানিজ ব্যাংকগুলোতে থাকা সিরিয়ার অর্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

১৫ বছর পর প্রথমবারের মতো সিরিয়া সফরে গেলেন লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। একইদিন ওমানের সুলতান শেখ আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন জাহের আল হিনাই এর সঙ্গে বৈঠক করেন আহমেদ আল শারা।

 

একদিকে আল শারা সিরিয়াকে ভূরাজনৈতিক দিক দিয়ে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে স্বৈরাচারের পতনের পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলা অব্যাহত রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ার সেনাবাহিনী / বিদেশি যোদ্ধাদের যোগ দেয়ায় পশ্চিমা বিশ্বের সতর্কবার্তা

 

দামেস্কের শহরতলীতে একটি মাজার উড়িয়ে দেয়ার ইসলামিক স্টেটের প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সানা সিরীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

আসাদের পতনের পর বিপদে পড়েছে তার মিত্র দেশ রাশিয়া। সিরিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ফলে শুধুমাত্র ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নয়, বরং আফ্রিকাতেও মস্কোর কৌশলগত অবস্থান বিঘ্নিত হয়েছে।

 

রুশ গণমাধ্যম মস্কো টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এ কারণেই মস্কো সিরিয়ার পরিবর্তে লিবিয়ায় কৌশলগত কেন্দ্র করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যদিও গণমাধ্যমটি জানায়, সিরিয়ার সরকার গেল সপ্তাহ থেকে দামেস্ক থেকে রুশ সামরিক সরঞ্জাম সরাতে দিচ্ছে না।

 

আরও পড়ুন: আসাদকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার অভিযোগ পুতিনের বিরুদ্ধে!

 

সিরিয়ার উচ্চপদস্থ সামরিক পদে বিদেশি যোদ্ধাদের নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় নতুন সরকারকে সতর্ক করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। তারা জানিয়েছে সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের এ পদক্ষেপ তাদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, একই সঙ্গে পশ্চিমা রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করায় এটি তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে। সিরিয়ার নতুন শাসকদের সতর্ক করেছেন মার্কিন, ফরাসি এবং জার্মান রাষ্ট্রদূতরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন