১৪ মাস পরও প্রশ্ন ওঠে–দেশে সরকার আছে না নাই: সাইফুল হক

৪ সপ্তাহ আগে
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সরকারের বিতর্কিত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

তিনি বলেন, ‘১৪ মাস পরও কোনো ঘটনা ঘটলে মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠে–সরকার আছে না নাই? এবং ‘এই সরকার নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কি না?’


শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।


সাইফুল হক বলেন, ‘গত এক বছরে মানুষ কর্মহীন হয়েছে, চাকরিচ্যুত হয়েছে। বেকারত্ব বেড়েছে। শ্রমিকরা অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামলে সেটাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাজারে আগুন, সামাজিক নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে। মব সন্ত্রাসীরা লুটপাট করছে। এসব দেখলে বোঝা যায়, সরকার দুর্বল ও অকার্যকর হলে মানুষ এসব করার সুযোগ পায়।’


সরকারের পক্ষপাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বলছে, সরকার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। সরকারের পক্ষপাত নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সমালোচনা হচ্ছে। এসব কারণে সরকার বিতর্কিত হচ্ছে–এই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা উচিত।’
 

আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার দুর্বল ও অকার্যকর: সাইফুল হক


চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানান সাইফুল হক। তিনি প্রশ্ন রাখেন: ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার দায়িত্ব আপনাদের কে দিয়েছে? জনগণ দেয়নি এ দায়িত্ব। বন্দর আমাদের, কোনো বিদেশি বেনিয়াদের কাছে তা তুলে দিতে পারি না।’ তিনি এ ধরনের কাজকে সরকারের ‘কাজ না, এজেন্ডা না, দায়িত্ব না’ বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে এসব বিতর্কিত কাজ পরিহার করার আহ্বান জানান।
 

তিনি ভবিষ্যতের জন্যও সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ‘সংস্কারের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ভবিষ্যতে কোনো দল বা ব্যক্তি যেন ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অপকর্ম করতে না পারে, তার জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তনসহ ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য যা করা প্রয়োজন, আমরা তা নিশ্চিত করতে চাই।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন