৫ দিনের টেস্ট ক্রিকেটের সেই সোনালি দিন আর নেই। বাজ বল, টি-টোয়েন্টি, টি-টেন , সিক্স এ সাইডের যুগে এখন ৫ম দিন পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচ গড়ায় কালে ভদ্রে। আর বাংলাদেশের মতো আবহাওয়ার দেশে এ তো আরো বিরল ঘটনা।
মিরপুরে এরকমই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হলেন আজ ক্রিকেট সমর্থকরা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টটা চললো মধ্যাহ্ন বিরতির পরও আরো ঘণ্টা খানেক। শেষবার ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমন দৃশ্য দেখেছিলো মিরপুর। এরপর কালে কালে ৩ বছর শের-ই বাংলায় চারদিনে টেস্ট যাওয়াটাও ছিলো বিশাল ঘটনা। মূলত মিরপুরের স্পিনিং উইকেটের কারণেই তিন দিনের মধ্যেই ফল চলে আসতো এতদিন।
আরও পড়ুন: কষ্ট করে দশটা উইকেট নিতে হয়েছে, এটাই আসলে টেস্টের সৌন্দর্য: শান্ত
কিন্তু আয়ারল্যান্ড সিরিজে পঞ্চম দিনের শেষ পর্যন্ত পিচে আসেনি কোন বড় ফাটল। স্পিনাররা টার্ন পেলেও সেটা ছিলো না আনপ্লেয়েবল। বরং স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করে গেছেন আইরিশ ব্যাটাররা। মুরাদ-তাইজুল-মিরাজরা মিলেও ডেডলক ভাঙতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ওভারের পর ওভার। অথচ, এই মিরপুরের কারণেই বদনামের ভাগীদার হতে হয়েছে বোর্ডকে। তাহলে, কোন জাদুতে এমন বদলে গেলো শের-ই বাংলা। গামিনি চলে যাওয়াই কি প্রধান কারণ নাকি গ্রাউন্ডস কমিটির নতুন চেয়ারম্যানের হাত আছে কোথাও?
টনি হেমিংকে কৃতিত্ব দিয়ে গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘অল ক্রেডিট গোস টু কিউরেটর। আমার মনে হয় যে খুব সুন্দর উইকেট, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমাদের দেশে অনেকেই সমালোচনা করতেন যে, উইকেট... খুবই মাটি খারাপ, এই খারাপ; কিন্তু ভালো উইকেট যে বানানো যায় আমার মনে হয় সেটা কিন্তু প্রমাণ করে দেখিয়েছে আমাদের গ্রাউন্ডস টিম।’
ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট স্পোর্টিং উইকেটের বিকল্প নেই এটা সবারই জানা। কিন্তু, প্রয়োজনে হোম অ্যাডভান্টেজ ব্যবহার করতে কোন বাঁধা দেখেন না পাইলট। শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাস, ভারতের চেন্নাই কিংবা ইডেনের মতো মিরপুরেও এখন থেকে দুই-একটা উইকেট সেভাবেই তৈরি রাখতে চায় বোর্ড।
আরও পড়ুন: উইকেট শিকারের রেকর্ডে হেরাথের পাশে তাইজুল
খালেদ মাসুদ পাইলট আরও বলেন, ‘যখনই আমাদের ট্যাকটিক্যাল কিছু বিষয় থাকবে যে, হয়তো কোনো পয়েন্ট পেলে আমরা ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফাই করবো বা হয়তো কোনো এসিসি খেলায় কোয়ালিফাই করবো... কিছু থাকে এরকম অনেক সময়। সেই ট্যাকটিক্যাল জায়গাতে আমার কাছে মনে হয় কিছুটা হোম অ্যাডভান্টেজ একটু নিতেই হবে, নেয়া উচিত, আমি মনে করি। সব দেশ, সব দলই এরকম করে, তার মানে এই না যে আনস্পোর্টিং কোনো চিন্তা-ভাবনা করা। আমরা যতটা এরকম টাইপের উইকেটে খেলবো আমার মনে হয় যে আমাদের প্লেয়াররা অনেক ইমপ্রুভ করবে।’
টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টির রান খড়া কাটিয়ে উঠেছেন অনেকেই। স্পিনাররাও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিয়েছেন নিজেদের। কিন্তু পেসারদের কথা ভাববে কে ? দুই ম্যাচেই কি অবহেলিত রয়ে গেলেন না এবাদত-খালেদরা?
]]>
৩ দিন আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·