কঠিন সময়টা হয়তো হাসিমুখে পার করতে চাইছেন তাওহীদ হৃদয়। কিংবা তাকে ঘিরে যত বিতর্ক, তা হয়তো গায়েই মাখছেন না। বিকেএসপিতে দেখা গেলো ফুরফুরে মেজাজে। অথচ তার ইস্যুতেই ওলটপালট দেশের ক্রিকেট।
হৃদয়-কাণ্ডের মাঝেই সুপার লিগে আরো একটা জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে তারই ফিফটিতে, সাদা কালোরা হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে। যদিও হৃদয়কে ছাপিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনই ফিফটি পেলেও, রানের সংখ্যায় এগিয়ে এই সিনিয়র।
আরও পড়ুন: নতুন করে নিষেধাজ্ঞায় হৃদয়, চাকরি ছাড়ছেন না সৈকত
এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নামে মোহামেডান। শুরু থেকেই ছিলো আধিপত্য। সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি কিংবা নাসুম আহমেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে গুলশান আটকে যায় মাত্র ২২৪ এ।
সহজ রান তাড়ায় আর অঘটনের জন্ম দেয়নি শিরোপার দৌড়ে থাকা মোহামেডান। দুই ওপেনার রনি আর ইমন ফেরেন শুরুতেই। সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা তৌফিক তুষার। তবে চারে নেমে অধিনায়কের মতো হাল ধরেন হৃদয়। বাকি কাজটা করে দিয়েছেন রিয়াদ।
এদিকে, বিকেএসপির আরেক ম্যাচে রূপগঞ্জের জয়ের নায়ক সৌম্য সরকার। যদিও তিনে নামা ব্যাটার এদিন জীবন পেয়েছেন ৩ বার। তা কাজে লাগিয়ে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে গড়েছেন রেকর্ড। লিস্ট এ ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি দেড়শো রানের ইনিংস এখন তার দখলে। পেছনে ফেলেছেন দুটো দেড়শোর মালিক তামিম ইকবালকে।
আরও পড়ুন: নতুন কোচ পেয়ে গেছে পাকিস্তান!
৫৮ বলে ফিফটি ও ৯২ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া ব্যাটসম্যান শেষ ২০ বলে যোগ করেন ৫৩ রান। ১৭টি চার ও ৬টি ছক্কা মারা সৌম্যর ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেটে ৩৩৩ রান করে রূপগঞ্জ। প্রথম ইনিংস শেষেই তাই ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায় এই ম্যাচের।
জবাবে খেলতে নেমে লড়াইয়ের আভাস দিয়েও লড়াই করতে পারেনি অগ্রণী। একমাত্র ফিফটি মার্শাল আয়ুবের ব্যাটে। রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাইফ হাসান। ১০৩ রানের বড় জয় তুলে নেয় আকবর আলীর দল৷ এই জয়ে কাগজে-কলমে শিরোপার দৌড়ে টিকে রইলো রূপগঞ্জ।
]]>