২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। অটিজম নিয়ে কাজ করা পুতুল এই পদের জন্য কতটা উপযুক্ত? তা ঘাটতে গিয়ে দুদক বলছে, কাগুজে ও ফরমায়েশি যোগ্যতা বলেই তাকে বসানো হয় এই পদে।
সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পাঠানো সিভিতে উল্লেখ করেন ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অটিজম ও মানসিক সংক্রান্ত ইনস্টিটিউট- ইপনায় শিক্ষকতা করেছেন, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, কখনোই তিনি শিক্ষকতা করেননি।

শুধু কি সিভি জালিয়াতি! দুদকের দাবি, মা শেখ হাসিনা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মেয়ের অযোগ্যতা ঢাকতে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৭৬তম ডব্লিউএইচও সম্মেলনে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থের অপচয় করে শতাধিক বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি পাঠিয়ে বাগিয়ে নেন পদ।
আরও পড়ুন: ভুয়া তথ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চাকরি, পুতুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুদকের আইন বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম বলেন, ‘পদ বাগাতে পুতুলের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনাসহ অন্যদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার যোগ্যতার সার্টিফিকেট বা কাগজপত্র; এগুলো সংগ্রহ করা তো তার একার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তার মা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তার মা অন্যতম সহযোগী ছিলেন। তার মায়ের প্রভাবে অন্যরা কাজ করেছে। এখন যে তদন্ত চলছে, তদন্তে এসব বিষয়গুলো উঠিয়ে আনা যায়।’
আর স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে নৈতিকতাবিরোধী কাজ করেছেন পুতুল, অবিলম্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করা উচিত তার।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল বলেন, ‘ডব্লিউএইচও এর রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে সায়মা ওয়াজেদের যে মিথ্যা তথ্য আমরা এখন পেয়েছি, সেটা এ সংগঠনের সঙ্গে যায় না।’
সিভিতে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ ও দুর্নীতির ঘটনায় পুতুলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুদক।